Sheikh Hasina: বিপদে পড়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন শেখ হাসিনা? ইউনূসকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের! বদলে যাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি?

*দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা! ইউনূসকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানাল আওয়ামী লীগ।বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীঘ্রই দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করবেন। সংগৃহীত ছবি।

*ওবায়দুল কাদের বর্তমানে অজ্ঞাত স্থানে রয়েছেন। সিএনএন-নিউজ১৮-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফসল, যার লক্ষ্য ছিল হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করা। তিনি এমন এক সময়ে এই বক্তব্য পেশ করেছেন, যখন দেশে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা চরমে পৌঁছেছে। সংগৃহীত ছবি।

*ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫ অগাস্ট ২০২৪ ছিল দেশের জন্য একটি কালো দিন, যেদিন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। তাঁর দাবি, এরপর থেকে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এবং সুদিনের অপেক্ষায় দিন গুণছে। তিনি বলেন, মানুষ এখন খোলাখুলিভাবে বলছে, হাসিনার শাসনকালে দেশ ভাল অবস্থানে ছিল। চরমপন্থী শক্তি বর্তমানে সাধারণ মানুষের ক্ষমতা গ্রাস করেছে, ফলে জনগণ স্থিতিশীলতা ফিরে পেতে চায়। সংগৃহীত ছবি।

*কাদের অভিযোগ করেন, ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করাই ছিল নোবেল বিজয়ী ড. মহম্মদ ইউনূসের এজেন্ডা। সংগৃহীত ছবি।

*গত বছর ভারত সফরে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এক অডিও বার্তায় তিনিও ইউনূসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেছিলেন, ইউনূস দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করেছিলেন এবং সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেছিলেন। আসল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে প্রভাবিত করা এবং তারিককে ক্ষমতায় আনা। সংগৃহীত ছবি।

*আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দলটি। তিনি বলেন, নির্বাচন অনিশ্চিত। সকল মৌলবাদী এবং চরমপন্থী শক্তি আমাদের ভয় পায় কারণ তারা জানে যে আমরা যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি তবে তারা পরাজিত হবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দল আইনী ও রাজনৈতিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং হাসিনার নেতৃত্ব ফিরে আসবে। সংগৃহীত ছবি।

*ওবায়দুল কাদের মনে করেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার শাসনামলের স্থিতিশীলতার কথা স্মরণ করছে, যেখানে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নিরাপত্তা ছিল। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। এই সংকটে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সংগৃহীত ছবি।

*বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর ভূমিকা এখনও গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান অস্থায়ী সরকার শেখ হাসিনা ও তার দলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংসতার অভিযোগ রয়েছে। সংগৃহীত ছবি।

*জবাবে, আওয়ামী লীগ দাবি করে, যে অভিযোগগুলি মিথ্যা এবং ইউনূস সরকার বিদেশী স্বার্থের পুতুল হয়ে উঠেছে। কাদের বলেন, ইউনূসের নেতৃত্বে অনেক মন্ত্রী বিদেশি পাসপোর্টধারী ছিলেন, যারা দেশের ক্ষতি করে পালিয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বাংলাদেশে সহিংসতা ও অরাজকতা বেড়েই চলেছে। হাসিনার সমর্থকদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং দলীয় কর্মীরা আতঙ্কিত। ওবায়দুল কাদের বলেন, আলমী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে সংকট মোকাবিলা করবে এবং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে। সংগৃহীত ছবি।