America Attack: একের পর এক বিমান হানা আমেরিকার! শয়ে-শয়ে মৃত্যু, রবিবার রাতেও ভয়াবহ এয়ারস্ট্রাইক! কোন দেশে হামলা চলছে জানেন?

ইয়েমেনে ধারাবাহিক বিমান চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, রবিবারও আমেরিকার বিমান হানায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি মানুষ।

আমেরিকার হামলাগুলি সানা'র আত্তান এলাকায় মূলত ঘটেছে, যা ২০১৪ সাল থেকে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আসির এলাকায় একটি স্যানিটেশন প্রকল্পেও আঘাত করেছে আমেরিকার বিমান বাহিনী। ইয়েমেনের ফুরওয়াহ পাড়া এবং শৌব জেলাতেও হামলা চালানো হয়েছে। যদিও আমেরিকার তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

গত শুক্রবারও আমেরিকায় হানায় ইয়েমেনে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৮০ জনের। তার পরেই পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছে হুথি। আমেরিকার এই হামলার পরেও ‘ইয়েমেন পিছু হটবে না’ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে হুথিরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ আগেই হুথিদের বিরুদ্ধে একটি বড় সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছিল। তারা জানিয়েছে, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রুটে জাহাজগুলিকে ক্রমাগত আক্রমণ করত হুথিরা। সেই আক্রমণ বন্ধ করতেই বাধ্য হতে হামলা চালানো হচ্ছে।

নভেম্বর ২০২৩ থেকে, এই গোষ্ঠীটি ইজরায়েলের গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতির জন্য ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলিতে ১০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইয়েমেনের তেলের বন্দর রাস ইশাতেও হামলা চালায় আমেরিকার যুদ্ধবিমান। শুক্রবার সকালের এই বিমানহানায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক বলে জানিয়েছে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রক হুথি বিদ্রোহীরা।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরানের মদতপুষ্ট হুথি জঙ্গিদের তেলের উৎস ধ্বংস করতে পদক্ষেপ করেছে মার্কিন বাহিনী। এই উৎস থেকে বেআইনিভাবে আয় করছে জঙ্গিরা। সেই অর্থ গত এক দশকে গোটা অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকে হুথি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউজের নির্দেশে গত ১৫ মার্চ থেকে অভিযান শুরু করেছে পেন্টাগন। তারপর থেকে হুথিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে লাগাতার মার্কিন অভিযান চালানো হচ্ছে।