Hitler: নির্বিচারে মানুষ মারা শাসক, সেই হিটলার আসলে কী হতে চেয়েছিলেন জানেন? বিশ্বাসই হবে না
- Published by:Suman Biswas
Last Updated:
Hitler: নাৎসি বাহিনীর নেতা ও স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলার ইতিহাসের এক ঘৃণিত রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেলেও তার আরও একটি পরিচয় অনেকের কাছেই প্রায় অজানা।
advertisement
1/7

বিশ্বকাঁপানো ত্রাস সৃষ্টিকারী শাসক ছিলেন তিনি। অথচ সেই অ্যাডলফ হিটলার ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন তিনি? জানেন? আসলে ছোটবেলায় হিটলার ধর্মযাজক ও চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। নাৎসি বাহিনীর নেতা ও স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলার ইতিহাসের এক ঘৃণিত রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেলেও তার আরও একটি পরিচয় অনেকের কাছেই প্রায় অজানা। রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগে তিনি একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন।
advertisement
2/7
অল্প বয়সেই ছবি আঁকতে ও কবিতা লিখতে ভালবাসতেন। তার বিখ্যাত বই ‘মাইন ক্যাম্ফ’ এ তার শিল্পী জীবনের নানা গল্প উঠে এসেছে। পড়াশোনায় খুব একটা ভাল ছিলেন না তিনি। তাই চিত্রশিল্পী হওয়ার বাসনা তখন থেকেই মাথাচাড়া দিতে থাকে। নিজেকে একজন সফল চিত্রশিল্পী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।
advertisement
3/7
সে আশায় ১৯০৫ সালে ভিয়েনায় পাড়ি জমান তরুণ এই শিল্পী। ভিয়েনায় থাকার সময়ে নিজের দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির আঁকা ছবি দেখে সেগুলো পোস্টকার্ডের ওপর নকল করতেন। সেসব পোস্টকার্ড বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার মাঝেও চলতো তার শিল্প সাধনা। নিজের পছন্দের, ভাল লাগা ছবিও আঁকতে চেষ্টা করতেন। ভিয়েনার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন স্থানের ছবি এ সময়ে তিনি অনেক এঁকেছেন।
advertisement
4/7
তাঁর ছবিগুলো দেখে অবশ্য পরীক্ষকরা বলেছিলেন, অঙ্কনশিল্পের জন্য হিটলার উপযুক্ত নন। সে সময় সহানুভূতিশীল একজন পরীক্ষক তাকে জানান, চিত্রকলার চেয়ে আর্কিটেকচারে তার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এজন্য তিনি হিটলারকে সেখানকার একাডেমি অফ আর্কিটেকচারে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
advertisement
5/7
তবে সেখানে ভর্তি হতে গেলে হিটলারকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিন্তু হিটলার লেখাপড়ায় ভাল না হওয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার গন্ডিই পেরোতে পারেননি। তাই ভিয়েনার একাডেমি অফ আর্কিটেকচারে আবেদন করার সুযোগই তিনি পাননি।
advertisement
6/7
এরপর হিটলার ভিয়েনা ছেড়ে মিউনিখে এসে উপস্থিত হন। চারদিকে তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। হিটলার জার্মানির পক্ষে সে যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ন্যাশনাল ওয়াকার্স পার্টির প্রধান হিসেবে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
advertisement
7/7
পরে সেই দল ভেঙে ন্যাশনাল স্যোশালিস্ট পার্টি নামে নিজের একটি দল করেন। ১৯৩৩ সালের ৩০ জানুয়ারি জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। দেশের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে পরবর্তী সময়ে জার্মানিতে নাৎসি স্বৈরশাসনের জন্ম দেন। তার নির্দেশে নির্বিচারে ইহুদীদের হত্যা করা হয়। ইউরোপে একের পর এক দেশ দখল করে নিতে থাকেন। তার কারণে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ক্ষয়ক্ষতির মূল হোতা হয়ে উঠেন এই নেতা।