Singer Zubeen Garg Death: 'জুবিন গর্গকে খুন করা হয়েছে', দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে অসম বিধানসভায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

সিঙ্গাপুরে নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর সাঁতার কাটার সময়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের। বিদেশের মাটিতে অসমের ছেলের এমন আকস্মিক প্রয়াণে অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন প্রথম থেকেই।

মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্য বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন যে, গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যু কোনও 'দুর্ঘটনা' নয় বরং একটি 'খুন' ছিল।

৫২ বছর বয়সি এই গায়ক ও সুরকার গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা যান।

অসম বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা এই খুন হওয়ার মন্তব্য করেন। বিরোধীরা মুলতুবি প্রস্তাবের মাধ্যমে গর্গের মৃত্যুর উপর আলোচনার সময় তাঁর বক্তব্যটি আসে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে মামলাটি 'অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র'-এর আওতায় পড়ে না, বরং জোর দিয়ে বলেন যে এটি একটি 'সরল হত্যা'।

'এটি একটি সরল হত্যাকাণ্ড', অসমীয়া গায়কের মৃত্যুর বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।

মঙ্গলবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে, মুখ্যমন্ত্রী শর্মার অনুরোধে, গায়কের মৃত্যু নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভায় উত্থাপিত একটি মুলতুবি প্রস্তাব স্পিকার অনুমোদন করেন।

এদিকে, গর্গের মৃত্যুর তদন্তকারী এক সদস্যের তদন্ত কমিশন সাক্ষ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার এবং বিবৃতি রেকর্ড করার সময়সীমা ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অসম সরকার ঘটনার আশপাশের সমস্ত পরিস্থিতি পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়ার পর, গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৌমিত্র সাইকিয়ার নেতৃত্বে প্যানেলটি ৩ নভেম্বর থেকে সাক্ষ্য এবং নথি সংগ্রহ শুরু করে। এর আগে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা ছিল।

কমিশনের কার্যভারের মধ্যে রয়েছে গায়কের মৃত্যুর আগে এবং পরে ঘটনাবলীর ক্রম একত্রিত করা এবং ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনও ব্যর্থতা, অবহেলা বা অসদাচরণ ঘটেছে কিনা তা নির্ধারণ করা।

এটি "অপরাধ, ষড়যন্ত্র, বা বেআইনি কাজ"-সহ সম্ভাব্য বাইরের জড়িত থাকার তদন্ত করার জন্যও দায়ী যা ঘটনার সাথে প্রভাবিত হতে পারে বা যুক্ত হতে পারে।ভক্তরা এই ছবিটিকে শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, বরং জুবিনদা-র প্রতি এক শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।অসমজুড়ে চলছে এক বিশেষ আন্দোলন — ছবিটিকে স্থায়ীভাবে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের দাবি উঠেছে।অনেকেই বলছেন, ‘যেভাবে মুম্বইয়ের মারাঠা মন্দিরে শাহরুখ খানের দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে টানা তিন দশক ধরে চলছে, তেমনি আমাদেরও উচিত রোই রোই বিনালে-কে সেই মর্যাদা দেওয়া।’