সে কী! ‘ভাইঝি’-র মতো নায়িকার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্স, এ কথা ভেবেই আতান্তরে পড়ে গিয়েছিলেন বলিউডের ভাইজান, তারপর যা হল....
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Salman Khan Hesitated To Romance His 'Niece' Onscreen: আসলে সোনম কাপুরের বাবা তথা অভিনেতা অনিল কাপুরের দীর্ঘদিনের বন্ধু সলমন। আর বাবার বন্ধুর সঙ্গে পর্দায় জুটি বেঁধে অভিনয় করার জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
advertisement
1/6

বছর দশেক আগে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবিতে একসঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল সোনম কাপুর এবং সলমন খানকে। একটি সাক্ষাৎকারে সলমনের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন সোনম। আর তাঁর করা চরিত্রটির কারণে যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছিল, সেই বিষয়গুলিও উত্থাপন করেছিলেন অভিনেত্রী। আসলে সোনম কাপুরের বাবা তথা অভিনেতা অনিল কাপুরের দীর্ঘদিনের বন্ধু সলমন। আর বাবার বন্ধুর সঙ্গে পর্দায় জুটি বেঁধে অভিনয় করার জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
advertisement
2/6
সোনম কাপুর স্বীকার করে নিয়েছেন যে, “আসলে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবিতে আমার সঙ্গে কাজ করা নিয়ে প্রথমে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন সলমন। কারণ উনি আমার বাবার খুবই কাছের বন্ধু। আর বিবি নম্বর ১ এবং নো এন্ট্রি-র মতো ছবিতে ওঁর সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন আমার বাবা। ফলে বন্ধু-কন্যার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্স করার ক্ষেত্রে মনে দ্বিধা ছিল সলমনের।” তবে ওই চরিত্রে অভিনয়ের সম্মতি দিতে প্রায় ৫ মাস সময় লেগে গিয়েছিল বলিউড ভাইজানের।
advertisement
3/6
পরে তিনি জানিয়েছিলেন যে, “প্রথম দিকে আমি সোনমের সঙ্গে কাজ করতে চাইনি। সুরজ বরজাতিয়া কোনও ভাবে আমায় রাজি করিয়েছিলেন। আসলে সুরজের ছবির রোম্যান্স বেশ অনন্য ধরনের। আর সেটা একটা চ্যালেঞ্জের মতো। কিন্তু সেক্ষেত্রে সোনম ছিলেন একেবারে উপযুক্ত।”
advertisement
4/6
অন্যদিকে সোনম কাপুরের অবশ্য এ নিয়ে কোনও গোঁড়ামি ছিল না। অভিনেত্রীর কথায়, “বিষয়টাকে একেবারেই আজব মনে হয়নি আমার। আসলে আমি ওঁর সঙ্গে কাজ করার আনন্দ উপভোগ করেছি। তিনি আরও বলেন যে, আমি তো ওঁর সমস্ত ছবিই দেখি। আর ওঁর সঙ্গে আমার একটা পারিবারিক সম্পর্কও রয়েছে। আমি তো ওঁর বাবাকেও ভাল ভাবে চিনি।”
advertisement
5/6
২০১৫ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়প্রদানকারী ছবি হয়ে উঠেছিল ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’। আর এই ছবিতে চতুর্থবারের জন্য রাজশ্রী প্রোডাকশনসের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছিলেন সলমন। এর আগে করেছিলেন ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ (১৯৮৯), ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন...!’ (১৯৯৪) এবং ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ (১৯৯৯)। পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া জানিয়েছিলেন যে, তিনি প্রথমে সলমনকেই চিত্রনাট্য শুনিয়েছিলেন। তবে নায়িকার নাম বলেননি।
advertisement
6/6
পরিচালকের কথায়, “আমি একটা নতুন মুখ চেয়েছিলাম। আর ‘রঞ্ঝনা’ দেখার পর আমার মনে হয়েছিল যে, এই ছবির নায়িকার ভূমিকায় সোনমই হবেন সেরা পছন্দ।” সুরজ বরজাতিয়া যখন সলমন খানকে সোনমের ছবি দেখান, তখন রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার। স্মৃতিচারণ করে সুরজ বরজাতিয়া বলেন যে, “সলমন খান আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে, ভাবার জন্য তাঁর সময় চাই। একটা গোটা মাস কেটে গিয়েছিল। আসলে বয়সের ফারাক নিয়ে ওঁর মনে একটা উদ্বেগ ছিল। উনি এ-ও জানিয়েছিলেন যে, সোনম তো অনেকটাই লম্বা। আর দেখতেও বেশ কমবয়সী লাগে। আর ওঁকে তো বড় হতে দেখেছি। তাই পর্দায় ওঁর সঙ্গে রোম্যান্সের বিষয় নিয়ে ভাবাটাই তো আমার পক্ষে কঠিন।”