প্রায় ২ বছর পর সানি দেওলের কামব্যাক, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘Jaat’ কি আদৌ দেখার মতো? জেনে নিন এই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  অভিনেতা সানি দেওলের ‘Jaat’ ছবির জন্য অধীর আগ্রহে মুখিয়ে ছিলেন তাঁর ভক্তরা। সানির পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করেছেন রেগিনা ক্যাসান্দ্রা, রণদীপ হুডা এবং বিনীত কুমার সিং। অবশেষে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। আসলে দক্ষিণী ছবি এবং বলিউডের এক অপূর্ব মেলবন্ধন এই ছবিটি। আসলে ‘Jaat’ ছবির পরিচালক, প্রযোজক এবং সঙ্গীত পরিচালক সকলেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির। এমনকী, ছবির গল্পও দক্ষিণের। তবে এই ছবিতে দক্ষিণী তারকাদের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন বলিউডের তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।

এই ছবিতে একজন জাঠ (বলদেব প্রসাদ সিং)-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি দেওল। আর রণতুঙ্গার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রণদীপ হুডাকে। এদিকে সোমুলু এবং সিবিআই অফিসার সত্যমূর্তির চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে বিনীত কুমার সিং এবং জগপতি বাবু। এবার সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, এই ছবিটি কি আদৌ দেখা যাবে কি না? আজকের প্রতিবেদনে এই ছবির কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক। এখানেই লুকিয়ে রয়েছে প্রশ্নের উত্তর। দেখে নেওয়া যাক সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিই।

ছবির গল্প: ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি মৈত্রী মুভি মেকার্স এই ছবিটি বানিয়েছে। আগে ওই সংস্থা পুষ্পা বানিয়েছিল। ফলে এবারও তারা প্রমাণ করল যে, তাদের হাতে অরিজিনাল কন্টেন্টের অভাব নেই। আসলে ‘Jaat’ হল সম্পূর্ণ রূপে নতুন গল্প। যা দর্শকদের হলমুখী হতে বাধ্য করবে।

সানি দেওলের কামব্যাক: গদর ২-এর পর প্রায় ২ বছর কেটে গিয়েছে। ফলে প্রায় ২ বছর পর বড় পর্দায় কামব্যাক হচ্ছে সানি দেওলের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ভক্তরা উচ্ছ্বসিত। কারণ তাঁরা বড় পর্দায় পছন্দের তারকাকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলেন।

দক্ষিণী এবং বলিউডি ছোঁয়া: এটাই এমন একটা প্রথম ছবি, যেখানে প্রধান অভিনেতা এবং প্রধান খলনায়ক দুজনেই বলিউডের তারকা। আবার পরিচালক-প্রযোজক এবং ছবির প্রেক্ষাপট দক্ষিণী। ফলে দর্শকদের কাছে ভীষণই স্পেশ্যাল এই ছবি।

ছবির গান: দক্ষিণের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক থামান এস এই ছবির গীতিকার। ফলে গান থেকে শুরু করে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সমস্ত কিছু দুর্দান্ত। যা প্রশংসার দাবি রাখে। ছবিতে মাত্র ৩টি গান রয়েছে এবং সব কটি গানই শক্তিশালী। এর মধ্যে আবার একটি রয়েছে আইটেম নম্বর। যেখানে পারফর্ম করেছেন ঊর্বশী রাউতেলা।

দৃশ্যে রয়েছে নৃশংসতা: ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যে রক্তক্ষয়ী এবং নৃশংস দৃশ্য দেখানো হয়েছে। মাথা কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখে মনে ভয় জাগবে। তবে নির্মাতাদের ওই সমস্ত দৃশ্য ব্লার করে দেওয়া উচিত ছিল। এটাই হয়তো ছবির একমাত্র নেতিবাচক দিক, যা দেখতে একটুও ভাল লাগবে না।