Bollywood Gossip: গানেই বলিউডে বাজিমাত, ২১০০০ গানের রেকর্ড! বিয়েও আটকে রাখতে পারেনি ভেসেছেন সুন্দরী নায়িকার প্রেমের জোয়ারে, স্ত্রী দেখাতে শুরু করেন খেলা, গার্লফ্রেন্ড পালাবার পথ পাননি

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক কুমার শানু ৷ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রায় ২১০০০ গান গেয়েছেন ৷ তাঁর নামেই বিশ্বরেকর্ড আছে, একদিনে ২৮টি গান রেক্রড করার ৷ ফাইল ছবি ৷

২০০৯-এ ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেন কুমার শানুকে ৷ তাঁর নামে পাঁচটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও রয়েছে ৷ ফাইল ছবি ৷

আইআইইএএফএ-এর বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন সকলের প্রিয় শানুদা ৷ আজ দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীর তালিকায় বারেবারে তাঁর নাম উঠে আসে ৷ ফাইল ছবি ৷

কিশোর কুমারকে নিজের আদর্শ বলে মনে করেন কুমার শানু ৷ সেই কারণেই গানের ধরন ধারণ কিশোর কুমারের মতই ছিল তাঁর ৷ ফাইল ছবি ৷

প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন জগজিৎ সিং-এর হাত ধরেই ৷ তিনিই কুমার শানুকে কল্যাণজি আনন্দজির সঙ্গে দেখা করিয়ে দেন ৷ ১৯৮৯ সালে জাদুগর ছবির জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন ৷ ফাইল ছবি ৷

আনন্দ মিলিন্দ, যতীন ললিত, অনু মালিক, নাদিম শ্রাবণের মত শীর্ষ স্তরের সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন এই তালিকায় ছিলেন কিংবদন্তি রাহুল দেববর্মনও ৷ একের পর এক সুপারহিট গানের জন্ম হয় ৷ ফাইল ছবি ৷

কুমার শানুর আসল নাম কেদারনাথ ভট্টাচার্য ৷ টিওআই-এর রিপোর্ট সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে কুমার শানু আলাদা আলাদা ভাষায় প্রায় ২১,০০০ গান গেয়েছেন ৷ যা এককথায় রেকর্ডও ৷ ফাইল ছবি ৷

তালিকায় বেশ কিছু জিঙ্গেলও আছে ৷ অব তেরে বিন জি লেঙ্গে হাম, মেরা দিল ভি কিতনা পাগল হ্যায়, সোচেঙ্গে তুমহে প্যায়ার করকে নেহি, কালি কালি আঁখে, এক লড়কি কো দেখা তো ৷

আঁখ কী গুস্তাখিয়া, ইয়ে বন্ধন তো প্যায়ারকা বন্ধন হ্যায়, আপকা আনা দিল ধড়কানা, তুম সা কই প্যায়ারা কই, তেরি চুনরিয়া দিল লে গয়ি, তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম ৷ ফাইল ছবি ৷

লড়কি বড়ি আনজানি হ্যায় একের পর এক সুপারহিট গানে নজর কেড়েছেন সকলের ৷ ফাইল ছবি ৷

কেরিয়ারে কুমারে শানু শাহরুখ খান, সলমন খান, আমির খান, সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, আমির খান, অনিল কাপুর, গোবিন্দার মত তারকাদের জন্য প্লেব্যাক করেছেন কুমার শানু ৷ ফাইল ছবি ৷

একই সঙ্গে দশকের পর দশক ধরে দর্শক ও শ্রোতাদের মনে রাজত্ব করেছেন তিনি ৷ ফাইল ছবি ৷

কুমার শানুর সাফল্য আসে ছায়াছবি জুর্মের মাধ্যমে ৷ কালজয়ী গান যব কই বাত বিগড় যায়ে ৷ কিন্তু আশিকিই তাঁকে সুপারস্টার করে ৷ এই ছবি দিয়ে শুরু করেন তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ লাগাতার পাঁচবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান কুমার শানু ৷ ফাইল ছবি ৷

একটি প্রচলিত কথাই আছে যে টাকা পয়সা, মান সম্মান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা হাতে এলেই মানুষ বদলাতে শুরু করে ৷ খুব কম মানুষই আছেন যাঁরা আকাশছোঁয়া সাফল্যকে হজম করতে পারেন ৷ ফাইল ছবি ৷

এমনই ঘটনা ঘটেছিল কুমার শানুর ক্ষেত্রেও শোনা যায় যখন কুমার শানু সাফল্যের স্বাদ চেখে দেখেন, ঠিক সেই সময়েই শীর্ষ নায়িকা মীনাক্ষী শেষাদ্রির সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে যায় ৷ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও মীণাক্ষীকে ডেট করতে থাকেন ৷ ফাইল ছবি ৷

নবভারত টাইমসের একটি খবরের ভিত্তিতে জানতে পারা গিয়েছে ৯০-এর দশকের জনপ্রিয় এই তারকা মীণাক্ষী শেষাদ্রির সঙ্গে সিরিয়াস অ্যাফেয়ার হয় তাঁর ৷ ফাইল ছবি ৷

যদিও এই বিষয়ে এই দুই তারকাই প্রকাশ্যে কোনও দিনও কিছু বলেননি ৷ মহেশ ভাটের ছবি জুর্মে এই দুইয়ের প্রথম দেখা হয় ৷ এই ছবিতে লিড ছিলেন মীণাক্ষী ৷ ফাইল ছবি ৷

এই ছবির সুপারহিট গান যব কই বাত বিগড় যায়ে, এই গানটি মীণাক্ষীর উপরে পিকচারাইজড করা হয় ৷ মীণাক্ষী ও কুমার শানুর প্রেম নানান ধরনের চর্চার সৃষ্টি করে ৷ ফাইল ছবি ৷

এই পরেই এই খবর কুমার শানুর স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের কানে যায় ৷ শুরু পারিবারিক বিবাদ, এই ঘটনা গড়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত ৷ এই ঘটনায় রীতার মন খানখান হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত কুমার শানু ও রীতা ভট্টাচার্যের ছাড়াছাড়ি হয় ৷ ফাইল ছবি ৷

শোনা যেন মীণাক্ষী শেষাদ্রি ও কুমার শানুর অ্যাফেয়ার প্রাত তিন বছর পর্যন্ত চলে ৷ তারপরেই মীণাক্ষীর নাম শিল্পপতি হরিশ মেসুরের সঙ্গে জুড়তে থাকে ৷ ফাইল ছবি ৷

বিয়ের পর মীণাক্ষী বলিউড ছাড়েন, পাড়ি দেন আমেরিকায় ৷ সেখানেই ঘর, বর সব কিছু নিয়ে শুরু করেন নতুন জীবন ৷ ফাইল ছবি ৷