সন্ধ‍্যা হলেই কোথায় বেরিয়ে যান দীপঙ্কর দে? দিদি নম্বর ১-এ এসে 'সত্যি' ফাঁস করলেন দোলন!

দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায়, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে দুজনেই স্ব স্ব জায়গায় নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু তার বাইরেও তাঁদের জুটি ঘিরে অনুরাগীদের ভালোবাসার অন্ত নেই। ভালবাসা যে বয়সের গণ্ডিতে বাঁধা রাখা যায় না, তার সবথেকে বড় উদাহরণ এই জুটি।

নিজের বয়সের থেকে বয়সে অনেকটাই বড় দীপঙ্কর দের প্রেমে পড়ে সমাজের বিরুদ্ধে যেতেও দুবার ভাবেননি দোলন রায়। অভিনেত্রী দীর্ঘ সময় সহবাসের পরে অবশেষে দু-বছর আগে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে'র সঙ্গে।

যখন ‘লিভ ইন’ শব্দবন্ধটার সঙ্গে তেমন ভাবে কেউ পরিচিতই ছিল না, তখন থেকেই একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতেন তাঁরা। এভাবেই কাটিয়ে দিয়েছেন ২৫ টি বসন্ত।

দু বছর হল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দীপঙ্কর দোলন। নিজেদের সম্পর্কটাকে সমাজের চোখে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু সবার কাছে তাঁদের সম্পর্কটা দীর্ঘ ২৭ বছরের।

রবিবার 'দিদি নম্বর ওয়ানে' বিশেষ পর্বে খেলতে এসেছিলেন দীপঙ্কর দোলন। সেখানেই ইন্ডাস্ট্রির ‘টিটো দা’ অর্থাৎ দীপঙ্কর দে বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোলন যেভাবে তাঁর যত্ন নেন তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়। বয়সে এত ছোট, কত স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তবুও তাঁকে ভালবেসে রয়ে গিয়েছেন দোলন। অনেক আত্মত‍্যাগও করেছেন তিনি, জানালেন দীপঙ্কর দে। পাশ থেকে অভিনেত্রী বলে ওঠেন, ২৭ বছর তো হয়ে গেল।

নিজেদের ব‍্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানান মজার কথা শেয়ার করেছেন এদিন দুজনে। এই বয়সে এসেও নাকি নিয়মিত চপ কাটলেট খেয়ে যান দীপঙ্কর দে। সন্ধ‍্যা হলেই তিনি ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। পৌঁছে যান কোনোদিন বাগবাজার, কখনো শ‍্যামবাজার। তারপর চপ, কাটলেট, গোলবাড়ির কষা মাংস খেয়ে বাড়ি ফেরেন।

দোলনকে রচনা প্রশ্ন করেন, “তুই কিছু বলিস না?” অভিনেত্রী বলেন, তিনি তো শুটিংয়ে বেরিয়ে যান। বেরোনোর সময়ে দীপঙ্কর নাকি বলেন, সেদিন আর বেরোবেন না। দই চিড়ে খেয়ে থাকবেন। কিন্তু সন্ধ‍্যা হলেই ঠিক বেরিয়ে যান। আবার সাফাই দেন, 'একটু ঘুরতে গিয়েছিলেন'।

এইভাবেই ভালোয় মন্দয় দাম্পত্বের আখ্যান শোনালেন দোলন-দীপঙ্কর। ফেসবুকের পাতাতেও সেই বিশেষ দিনেই চেয়ে নিলেন শুভকামনা। অনুরাগীরাও প্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীকে ভরিয়ে দিলেন ভালোবাসায়।