Abhishek-Aishwarya Divorce Rumors: সর্বনাশ! সব মুছে ফেললেন ঐশ্বর্য...! কফিনে শেষ পেরেকটাও পুতে দিলেন নিজেই, জানাজানি হতেই শোরগোল..., আসল কারণ জানলে রাতের ঘুম উড়বে

বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন সর্বদাই খবরের শিরোনামে রয়েছেন । ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের খবর নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল টিনসেল টাউন৷ অভিষেক-ঐশ্বর্যর সম্পর্কের বিয়ে ভাঙার চর্চা নতুন নয়৷ দীর্ঘদিন ধরেই তা নিয়ে কানাঘুষো চলছে৷

বিয়ের দু'দশক পার করে ফেলেছেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন৷ দীর্ঘ ১৬ বছরের দাম্পত্যে ভাঙন ধরেছে বলেই শোনা যাচ্ছে৷ তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের খবর নিয়ে তোলপাড় বি-টাউন৷ জানা গেছে, একসঙ্গে আর থাকেন না অভিষেক ও ঐশ্বর্য৷

বিচ্ছেদের জল্পনা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিলেন রাই সুন্দরী৷ সম্প্রতি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন দুবাইতে গ্লোবাল উইমেন ফোরাম ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেছেন।

প্যানেলিস্টদের প্রশংসা করে ইভেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে ঐশ্বর্য একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের কাজ এবং প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। ঐশ্বর্য যখন মঞ্চে আসেন, তখন তার নাম এবং পেশা 'ঐশ্বর্য রাই' বলে একটি বড় পর্দায় দেখানো হয়৷ যা নিমেষে ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়৷

অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের জল্পনায় আচমকাই নিজের নাম থেকে বচ্চন পদবি সরিয়ে দিতেই জল্পনা ফের দানা বাধতে শুরু করেছে৷ ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা শুরু হয়েছে।

তবে একটু খেয়াল করলে এটাও দেখাই যাবে ঐশ্বর্যের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে তার নাম এখনও 'ঐশ্বর্য রাই বচ্চন' হিসেবে লেখা আছে। শুধু তাই নয়, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সংক্ষিপ্ত নামও 'এআরবি' রেখেছেন তিনি। দুবাই ইভেন্টের ভিডিওতে, তার প্রথম নামটি স্থান বা পেশাদার প্রতিনিধিত্বের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই ২০০৭ সালের এ বিয়ে করেছিলেন। খুব অল্প সময় ডেটিংয়ের পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাঁরা। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তাঁদের ঘরে আসে কন্যা আরাধ্যা বচ্চন।

গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বচ্চন পরিবারের অশান্তি৷ সূত্রের খবর, পারিবারিক দাম্পত্য কলহের জেরে নাকি বাড়ি ছেড়ে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে আলাদা থাকছেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন৷ তবে কি শুধুই পারিবারিক অশান্তির জন্য ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন ঐশ্বর্য-অভিষেক? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে৷