ধর্ম দিয়ে আমি পরিচিত হতে চাই না, ‘খান’ পদবীকে তাই বর্জন করছি... বলেছিলেন ইরফান

অনেক লড়াইয়ের সমাপ্তি। জীবন বলে দিল আলবিদা। তবু তিনি থাকবেন। তিনি ছিলেন মনজুড়ে। তিনি থাকবেন হৃদয়জুড়ে। Photo Source: Twitter

তিনি থাকবেন। সিনেমাপ্রেমীদের মনে, তিনি চিরদিন থেকে যাবেন রাজা হয়ে। নবাব হয়ে। সাইলেন্ট সুপারস্টার হয়ে। তিনি থেকে যাবেন এক অন্য খান হয়ে। সাহাবজাদে ইরফান আলি খান। তিনি খ্যাতির পিছনে ছোটেননি। কিন্তু, খ্যাতি এসে তাঁর হাত ধরেছে। তাঁর অভিনয় তাঁকে বিখ্যাত করেছে। শুধু ভারতে নয়, আন্তর্জাতিক ফিল্মের জগতেও তিনি সমান প্রশংসিত। তিনি এক অধ্যায়। তিনি এক নাম। তিনি ছিলেন। থাকবেন। ইরফানে ডুবে থাকবেন সিনেমাপ্রেমীরা। Photo Source: Twitter

ইরফান বলতেন, ‘‘খ্যাতির লোভ আসলে একটা অসুখ। একদিন এই অসুখ থেকে আমি মুক্তি পেতে চাইব। এই প্রত্যাশা থেকে দূরে সরে যেতে চাইব। যেখানে খ্যাতির কোনও মূল্য নেই। যেখানে এই বেঁচে থাকাটুকুই, জীবনের পথচলার এই অভিজ্ঞতাটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট।’’ Photo Source: Twitter

মুখের ভাষা কোনও মানুষকে অভিজাত বানাতে পারে না। মানুষ আমার মুখ না, অভিনয় দেখতে পছন্দ করেন। Photo Source: Twitter

তিনি নিজের নামের সঙ্গে কখনও খান জুড়তেন না। বলতেন, ‘‘আমি ইরফান। শুধুমাত্রই ইরফান। খান এই শব্দটিকে আমি বর্জন করেছি। ধর্ম দিয়ে আমি পরিচিত হতে চাই না। চাই না, পদবি বা বংশ পরিচয়ের মাধ্যমে মানুষ আমাকে চিনুক।’’ Photo Source: Twitter

সুন্দর দেখতে মুখ তাঁর ছিল না। কিন্তু ওই মুখ, মন ছুঁয়ে যেত। তখন মুম্বই ছিল বম্বে। তাঁর শুরু - সালাম বম্বে। ‘এক ডক্টর কি মওত’ আরব সাগরে ঢেউ তুলেছিল। থিয়েটার, টিভিতে নানা ভূমিকায়। কিন্তু, অনেকেরই তখন চোখে পড়েনি।

তারপর ধীরে ধীরে বড় পর্দায়। যখন সবার চোখে পড়ল, তখন চোখে পড়ল - চোখ দুটো কথা বলে। তাঁর চোখে-মুখে কথাই যথেষ্ট। সংলাপের যেন প্রয়োজন হয় না ৷ তিনি এক অন্য পথের পথিক।

ইরফান বলতেন, ‘‘বাণিজ্যিক সিনেমার ছাঁচে ফেলা অভিনয়ের জন্য আমি কোনওদিনই প্রস্তুত নই।’’ Photo Source: Twitter