Bollywood:তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে ডায়ালগ ভুলে যেতেন বড় বড় হিরো,কিন্তু নায়িকা পাগলের মতো ভালবাসতেন শুধু ধর্মেন্দ্রকে,কার কথা হচ্ছে বলুন তো? পড়ুন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
সুপারহিট এই নায়িকার কষ্টে জর্জরিত, নিঃসঙ্গ জীবন চোখে জল এনে দেয়
advertisement
1/11

১৯৫০ সাল নাগাদ বলিউডে তাবড় তাবড় নায়িকাদের ভিড়! কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন? মধুবালা, ওয়াহিদা রহমান, নূতন...! কোন-ও নায়িকা গ্ল্যামারাস, কোনও নায়িকার স্টারডম তুঙ্গে, কোন-ও নায়িকা বক্স-অফিসে সুপারহিট। কিন্তু সেই সময় একমাত্র একজন নায়িকাই ছিলেন, যিনি এককথায় 'কমপ্লিট প্যাকেজ' ... হিন্দি সিনেমার ‘পাকিজা’ অভিনেত্রী, যাঁর অসাধারণ অভিনয়-প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শকরা।Image: News18
advertisement
2/11
আকাশছোঁয়া কেরিয়ার হলেও ব্যক্তিগত জীবন জর্জরিত ছিল নায়িকার! দাম্পত্য জীবনে সুখ পাননি। একের পর এক অপূর্ণ সম্পর্ক! এই প্রতিভাবান অভিনেত্রী আর কেউ নন, মীনা কুমারী। ট্র্যাজিক ক্যুইন। ভাগ্যের নিদারুণ পরিহাস! একসময়ে ভারতের সবথেকে ধনী নায়িকার জীবন শেষ হল করুণ অবস্থায়! বাবা-স্বামীর অত্যাচার, প্রতারণা, টাকার অভাব, মদের নেশা... ট্র্যাজিক ক্যুইন মীনা কুমারীর জীবন যেন চিত্রনাট্য।Image: News18
advertisement
3/11
১৯৭২ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মীনা কুমারীর মৃত্যুর পর তাঁর অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু নার্গিস একটি আবেগঘন চিঠি লেখেন, যা আজও পাঠকের চোখে জল এনে দেয়। মীনা কুমারী এতটাই সুন্দরী ছিলেন যে, শুটিংয়ের সময় সহ-অভিনেতারা তাঁর চোখের দিকে তাকালে নিজেদের সংলাপ ভুলে যেতেন।Image: News18
advertisement
4/11
নার্গিস এই চিঠিটি উর্দুতে লিখেছিলেন। এই চিঠির উল্লেখ রয়েছে ইয়াসির আব্বাসির বই ‘উন দিনো কি বাত হ্যায়’-এ। নারগিস চিঠিতে লিখেছিলেন –"মৃত্যু মোবারক হোক মীনা... আজ তোমার বোন তোমার মৃত্যুর জন্য তোমায় অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং প্রার্থনা করছে, যেন তুমি আর কখনও এই জগতে ফিরে না আসো। এই জগৎ এমন এক সংবেদনশীল ও সত্যনিষ্ঠ মানুষের উপযুক্ত নয়, যেমন তুমি ছিলে।"Image: News18
advertisement
5/11
এই একটি লাইনের মধ্যেই মীনা কুমারীর সারাজীবনের যন্ত্রণা ও একাকীত্ব লুকিয়ে রয়েছে। নার্গিস সেই চিঠিতে এক বড় সত্য উন্মোচন করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, মীনা কুমারী যদি জীবনে কাউকে নিজের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে ভালবেসে থাকেন, তবে সে ছিল শুধুই ধর্মেন্দ্র। যদি কখনও তিনি কাউকে পাগলের মতো ভালবেসে থাকেন, তিনি ছিলেন ধর্মেন্দ্র।এই সম্পর্ক ছিল অপূর্ণ, কিন্তু গভীর। মীনা ও ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এবং পর্দায় তাঁদের রসায়ন দেখে অনেকেই বুঝে গিয়েছিল—এটা শুধুই অভিনয় নয়, এর মধ্যে আরও কিছু আছে।Image: News18
advertisement
6/11
১৮ বছর বয়সে পরিচালক কামাল আমরোহির সঙ্গে পরিচয়। আমরোহি বিবাহিত ছিলেন। তবুও ১৯৫২ সালে গোপনে বিয়ে করেন মীনা কুমারী ও আমরোহি। কামাল আমরোহি ছিলেন তিন সন্তানের পিতা। মীনা কুমারীর দাম্পত্য জীবন ছিল নিঃসঙ্গ, একাকীত্বে ভরা।Image: News18
advertisement
7/11
বিয়ের পরে মীনা কুমারী আর কামাল আমরোহির জীবন মসৃণ ছিল না। আমরোহি অকথ্য অত্যাচার করতেন মীনা কুমারীর উপর। চলত মারধোর। অভিনেত্রী নার্গিস একবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যেই মীনা কুমারীরে মারধর করতেন আমরোহি। শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টেকে না। বিচ্ছেদ হয়ে যায় আমরোহি আর মীনা কুমারীর। মীনা ক্রমশ আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে মদ্যপানের অভ্যাস তাঁর জীবনকে গ্রাস করতে শুরু করে। এই সময়েই তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে, কিন্তু এই সম্পর্কও কখনও পূর্ণতা পায়নি।Image: News18
advertisement
8/11
কামাল আমরোহির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও উঠেছিল যে, ধর্মেন্দ্রর প্রতি প্রতিশোধ নিতে তিনি তাঁকে ‘রাজিয়া সুলতান’ ছবিতে এক দাসের চরিত্রে কাস্ট করেন এবং তাঁর মুখে কালো মাটি মাখিয়ে, রোদের মধ্যে শুট করান।Image: News18
advertisement
9/11
ব্যক্তিগত জীবন জর্জরির হলেও কেরিয়ার ছিল সোনায় মোড়া। 'তামাশা'য় মীনা কুমারীর অভিনয় আজ-ও ভোলেনি দর্শক। সাড়া ফেলল ১৯৫২-র 'বাইজু বাওরা'। ৫০-এর দশকে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি-- 'পরীনিতা', 'চাঁদনি চওক', 'আজাদ', 'এক হি রাস্তা'। 'শারদা', 'শাহারা', ' দিল আপনা অওর প্রিত পরাই', 'কাজল', 'সাহেব বিবি অওর ঘুলাম' ছবির হাত ধরে তিনি হয়ে উঠলেন 'ট্র্যাজেডি ক্যুইন'। ৬০-এর দশকের শুরুতে তাঁকে টেক্কা দেওয়ার আর কেউ ছিল না। হিরোরা-ও তাঁর কাছে হার মানতেন।Image: News18
advertisement
10/11
১৯৭১ সালে তাঁর লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। শরীর খারাপের মধ্যেও জীবনের সবথেকে বড় ছবি 'পাকিজা' শ্যুট করেন মীনা কুমারী। ১৯৭২ সালে ছবিটি মুক্তি পায়, এর কয়েক সপ্তাহ বাদেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মীনা কুমারী। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। একসময়ে ভারতের সবথেকে ধনী নায়িকার হাসপাতালের বিল দেওয়ার টাকাও ছিল না।Image: News18
advertisement
11/11
৬০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ার উড়ছিল। একটার পর একটা হিট। ১৯৬৮ সালে তাঁর শেষ হিট ছবি 'বাহারো কি মনজিল'। এরপর-ই পড়তে থাকে মীনা কুমারীর কেরিয়ার। এর মূল কারণ ছিল মদের নেশা। এক-এক সময় সেটেও মদ্যপান করে আসতেন মীনা কুমারী।Image: News18