‘এক এক করে আমার সব সহ-অভিনেতা চলে যাচ্ছেন, এবার ধরমজিও চলে গেলেন...’, শোকাহত আশা পারেখ ভাগ করে নিলেন ধর্মেন্দ্রর স্মৃতি
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
'One By One All My Co-Stars Are Gone. Now, Even Dharam Ji Is Gone': আশা পারেখ এবং ধর্মেন্দ্রও হিন্দি ছবির স্বর্ণযুগের সবচেয়ে প্রিয় অন-স্ক্রিন জুটিগুলির মধ্যে অন্যতম, তাঁদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং স্থায়ী বন্ধুত্ব সেটের বাইরেও বিস্তৃত ছিল।
advertisement
1/6

তাঁর নায়িকাদের সঙ্গে জুটির কথা উঠলে হেমা মালিনীর নামই সবার আগে থাকবে। তবে, আশা পারেখ এবং ধর্মেন্দ্রও হিন্দি ছবির স্বর্ণযুগের সবচেয়ে প্রিয় অন-স্ক্রিন জুটিগুলির মধ্যে অন্যতম, তাঁদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং স্থায়ী বন্ধুত্ব সেটের বাইরেও বিস্তৃত ছিল। তাঁদের বন্ধন স্মৃতিকাতরতার জন্ম সঙ্গত কারণেই দেয়।
advertisement
2/6
১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী আশা পারেখ সব সময়েই ধর্মেন্দ্রকে কেবল একজন সহ-অভিনেতা হিসেবেই নয়, একজন প্রিয় বন্ধু হিসেবেও বর্ণনা করতেন। পর্দায় এবং পর্দার বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই তাঁদের বন্ধুত্ব স্পষ্ট ছিল, আশা পারেখ স্মরণ করে বলেন যে ধর্মেন্দ্রের কোমল স্বভাব এবং রসবোধ প্রতিটি শ্যুটিংকে স্মরণীয় করে তুলেছিল। তিনি বলেছেন যে বলিউডে ‘তাঁর উত্তরাধিকার অমর’ হয়ে থাকবে এবং তাঁর সঙ্গে কাজ করা সর্বদা আনন্দের ছিল।
advertisement
3/6
এই জুটি বেশ কয়েকটি সফল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যা আজও ক্লাসিক হিসেবে গণ্য হয়। এর মধ্যে অন্যতম আয়ে দিন বাহার কে (১৯৬৬), এটি একটি রোম্যান্টিক ড্রামা যেখানে তাঁদের রসায়ন ছবিটির সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল; শিকার (১৯৬৮) একটি সাসপেন্স থ্রিলার যেখানে ধর্মেন্দ্রর তীব্রতা এবং পারেখের মার্জিত অভিনয় নজর কেড়েছিল; মেরা গাঁও মেরা দেশ (১৯৭১) এবং সমাধি-র (১৯৭২) নামও আলাদা করে নিতে হয়। তাঁদের ছবিগুলো রোম্যান্স, ড্রামা এবং সঙ্গীতের নিখুঁত ভারসাম্য বজায় রেখেছিল, যা তাঁদের নিজেদের সময়ের সবচেয়ে সফল জুটিগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছিল।
advertisement
4/6
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর সাক্ষাৎকারে পারেখ গভীর শোক প্রকাশ করেন, উল্লেখ করেন যে তাঁর অনেক সহ-অভিনেতা ধীরে ধীরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তিনি মর্মস্পর্শী মন্তব্য করেন, ‘‘এক এক করে আমার সমস্ত সহ-অভিনেতা চলে যাচ্ছেন। এবার এমনকি ধরমজিও চলে গেলেন।’’
advertisement
5/6
এই বিবৃতি তাঁর শোক এবং একটি যুগের অবসানের অনুভূতি উভয়ই প্রতিফলিত করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ধর্মেন্দ্র কেবল একজন সুপারস্টারই ছিলেন না বরং একজন দয়ালু সহকর্মীও ছিলেন যিনি সকলের সঙ্গে উষ্ণ আচরণ করতেন।
advertisement
6/6
তিনি নায়কের বহুমুখী প্রতিভার কথাও তুলে ধরেন, ফুল অউর পাথরের পর বলিউডের হি-ম্যান পরিচিতি থেকে শুরু করে রোম্যান্টিক এবং কৌতুকপূর্ণ চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের কথা বলেন, বিশাল তারকাখ্যাতি সত্ত্বেও নম্র স্বভাব ধরে রাখার ক্ষমতার প্রশংসা করেন।ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সেটে কাটানো আনন্দের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন আশা পারেখ। ‘‘আমি সবসময়ই হইচই করতাম, আর সেও তেমনই ছিল। কিন্তু ক্যামেরা ঘুরতেই আমরা সম্পূর্ণ গম্ভীর হয়ে যেতাম। লেন্সের সামনে সে খুবই স্বাভাবিক ছিল। বিশেষ করে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সত্যকাম-এ তার অভিনয়ের আমি প্রশংসা করি। আমার ওর সঙ্গে হৃষিদা-র চুপকে চুপকে করার কথা ছিল, যদিও আমি জানি না কেন তা হয়নি। তবে, আমি ওর সঙ্গে যে ছবিই করেছিন, সত্যিই দারুণ উপভোগ করেছি’’, বলেছেন নায়িকা।