Malda News: গৃহস্থ বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকে ব্যাপক লুঠপাট ! সাড়ে সাত মাস পরে পুলিশের জালে মূল পাণ্ডা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- Written by:Sebak Deb Sarma
Last Updated:
দীর্ঘদিন ফেরার থেকেও হল না শেষরক্ষা। জেরায় ডাকাতির ঘটনা কবুল।
advertisement
1/4

সেবক দেব শর্মা, মালদহ: একদিন-দু’দিন কিংবা একমাস বা দু’মাসও নয়, সাত মাস ধরে চোর - পুলিশ খেলার দিন শেষ। অবশেষে, পুলিশের জালে মালদহের চাঁচলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার কিং পিন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার ডাকাত দলের মূল পাণ্ডা এস্তাব আলি। ধৃতের বাড়ি মালদহের রতুয়া থানার সামসি এলাকায়।
advertisement
2/4

এর আগে একাধিক ডাকাতি এবং গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিল চাঁচল থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৪ জুন চাঁচল থানার মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বসন্তপুর এলাকায় ব্যবসায়ী মণীন্দ্রনাথ সাহার বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধ দম্পতির মাথায়় পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ প্রায় এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং আরও প্রায় আট ভরি সোনার গয়না লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মনীন্দ্রনাথ সাহা ।
advertisement
3/4
অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তে নামে চাঁচল থানার পুলিশ। কিন্তু, পুলিশি সক্রিয়তা টের পেয়ে গা ঢাকা দেয় এস্তাব। তবে হাল ছাড়েনি পুলিশও। শুরু হয় লাগাতার নজরদারি। পাশাপাশি ধৃত কুখ্যাত দুষ্কৃতির নাগাল পেতে সোর্স আরও জোরদার করা হয়। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এস্তাবকে ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। ধরা পড়ে যায় ডাকাত দলের মূল পাণ্ডা। তাকে জেরা করে একাধিক ডাকাতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
advertisement
4/4
ইতিমধ্যেই ধৃতকে গ্রেফতারের পর জেরা করে লুঠ হওয়া নগদ অর্থ এবং সোনার গয়না উদ্ধারের চেষ্টায়় নেমেছে পুলিশ। এদিকে দেরিতে হলেও ডাকাতির ঘটনার কিনারা হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী মহল। অবিলম্বে লুঠ হওয়া জিনিস উদ্ধারের দাবিও করেছেন ব্যবসায়ীরা। এস্তাব আলি গ্রেফতার হওয়ার পর ওই দলে আরও কতজন রয়েছে, লুঠ হওয়া জিনিসপত্র কোথায় কিভাবে বিক্রিবাট্টার ব্যবস্থা হয়, হঠাৎ ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি টার্গেট করা হয়েছিল কেন, এ সংক্রান্ত আরও তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে।