Dead Body Recovered: গড়ফায় বৃদ্ধের কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য! তিন মাস আগে মৃত্যু বাবার, ছেলে কেন দেহ আগলে?
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Dead Body Recovered: দুর্গন্ধ আটকাতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল? মৃত বৃদ্ধ ভবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের প্রাক্তন ল্যাবরেটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। অসুস্থতা নাকি অন্য কোনো রহস্য?
advertisement
1/6

#কলকাতা: রবিনসনস্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার গড়ফায় ! বৃদ্ধ কঙ্কালসার দেহ (Old man's dead body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অথচ ওই বাড়িতেই বছর চল্লিশের বৃদ্ধর ছেলে থাকেন। তিন মাস আগে মৃত্যু অথচ কেন সৎকার করা হয়নি দেহ ? ছেলে মৃত বাবার দেহ আগলে রাখলো কেন ? এক মৃত্যু প্রশ্ন অনেক।
advertisement
2/6
সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গড়ফার (Kolkata Crime) কে পি রায় রোডে। মৃতের নাম সংগ্রাম দে। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। তিনি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের প্রাক্তন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশে। কারণ বহু দিন ধরে সংগ্রামবাবুকে বেরোতে দেখা যাচ্ছিলো না। ফলে সোমবার গড়ফা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে খোঁজ নিতে জানা যায় ঘরের মধ্যে কঙ্কালসার অবস্থায় শায়িত রয়েছে সংগ্রাম বাবুর দেহ। গড়ফা থানা বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার (Dead Body) করে ময়না তদন্তর জন্য পাঠায়।
advertisement
3/6
পুলিশের কাছে ছেলে কৌশিক দাবি করেছেন, "তাঁর বাবার তিন মাস আগে মৃত্যু হয়েছে। বাথরুমে গিয়েছিলেন তারপর অসুস্থ হওয়াতে খাটে এনে ছেলে শুইয়ে দেন। এরপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কি ভাবে মৃত্যু তা তিনি জানেন না। " সংগ্রাম বাবুর ৩০-৩৫ হাজার টাকা তোলা ছিল তা দিয়ে সংসার চলছিল বলে জানিয়েছেন ছেলে কৌশিক। পুলিশের অনুমান, ছেলের মানসিক সমস্যা আছে। কথা বার্তাতে সেরকমই ইঙ্গিত মিলেছে।
advertisement
4/6
সংগ্রাম বাবুর স্ত্রী অরুণা দে তিনি পক্ষঘাতে আক্রান্ত। ফলে তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, " নভেম্বর মাসে কালীপুজো আগে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলে কৌশিক বলেছিলেন বাবা সোশ্যালি ডেড। কিন্তু মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে তাঁর কথায় কেউ কান দেননি। " অপর এক প্রতিবেশী জানান, " দোকানে ওষুধ কিনতে আসতেন ছেলে কৌশিক। তবে বাইরে কারর সঙ্গে বেশি মিশতেন না। রাতেও ছাদে একা একা ঘুরে বেড়াতেন। জল নিতে বিকালে দিকে বেরোতেন। দরজা জানালা সব সময় বন্ধ রাখতো কৌশিক ৷"
advertisement
5/6
এদিন ডিসি (২) এসএসডি সির্দ্ধাত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, " ছেলের কথা অনুসারে তিন মাস আগে মৃত্যু হয়েছে সংগ্রাম দে নামে ওই বৃদ্ধর। ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ। কীভাবে মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে | দুর্গন্ধ আটকাতে কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার হয়েছে কিনা তা ফরেন্সিক টেস্টর পর জানা যাবে। " কিন্তু বৃদ্ধর মৃত্যু ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। ছেলে কেন কাউকে ( আত্মীয় ) বাবার মৃত্য খবর দিলেন না ? কেন দূর্গন্ধ বেরোলো না? দুর্গন্ধ আটকানোর জন্য কোনো মেডিসিন বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল ?কেন মৃত্যু কথা জানালো না পুলিশ বা আশেপাশের বাসিন্দাদের? কেন দেহ তিন মাস ধরে পড়ে থাকা সত্ত্বেও পোড়ানো হল না? দরজা জানালা কেন বন্ধ রাখতো কৌশিক? অসুস্থতা নাকি অন্য কোনো ভাবে মৃত্যু?
advertisement
6/6
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দেহটি ময়না তদন্ত জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে কীভাবে মৃত্যু। মৃত্যু কীভাবে অসুস্থতা নাকি অন্য কোনো রহস্য সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গড়ফা থানার পুলিশ। Input- Arpita Hazra