সোনার চেয়েও দামি এই কাঠ! ১০ গ্রাম কাঠের দাম ১ কেজি সোনার সমান...জানেন কেন এত মূল্যবান?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Most Expensive Wood In The World: ১০ গ্রাম কাঠের দাম ৮৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও দুষ্প্রাপ্য কাঠ। কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই কাঠের? কেনই বা এর এত দাম? চলুন জেনে নেওয়া যাক!
advertisement
1/12

আমরা সাধারণত গয়না তৈরির জন্য সোনা ও হীরের ব্যবহার দেখে অভ্যস্ত। এসব ধাতুর মূল্য আকাশছোঁয়া, সেটাও আমরা জানি। কিন্তু আপনি কি জানেন, এমন একটি কাঠ রয়েছে যার মাত্র ১০ গ্রামের দাম ১ কেজি সোনার সমান? অর্থাৎ, সোনা ও হীরেও এই কাঠের সামনে তুচ্ছ! কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই কাঠের? কেনই বা এর এত দাম? চলুন জেনে নেওয়া যাক!
advertisement
2/12
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম কাঠ পাওয়া যায়, যা নানান কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, শিমুল, সেগুন, চন্দন কাঠ দিয়ে ফার্নিচার, শো-পিস বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা হয়। কিন্তু এমন এক কাঠ রয়েছে, যার দাম হীরা ও সোনার থেকেও বেশি!
advertisement
3/12
এই কাঠের নাম 'কিনাম'(Kynam), যা *আগরউড গাছের (Agarwood) এক বিরল প্রজাতি। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও দুষ্প্রাপ্য কাঠ হিসেবে পরিচিত।
advertisement
4/12
কেন এত দামী এই কাঠ? আগরউড সাধারণত তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। তবে তার মধ্যেও বিশেষ কিছু প্রজাতি রয়েছে, যা অত্যন্ত মূল্যবান। খাঁটি আগরউডের দাম প্রতি কেজি প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে 'কিনাম' এতটাই বিরল যে, এর মাত্র ১০ গ্রাম কাঠের দাম ৮৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা! অর্থাৎ, ১০ গ্রাম কিনাম কাঠের মূল্য প্রায় ১ কেজি সোনার সমান!
advertisement
5/12
এই আগরউড গাছ সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চিন, আরব, জাপান ও ভারতের কিছু জঙ্গলে পাওয়া যায়। বিশেষ করে, ভারতের আসামে এই গাছ পাওয়া যায়। অসমকে 'ভারতের আগরউড রাজধানী' (Agarwood Capital of India) বলা হয়।
advertisement
6/12
কী ভাবে তৈরি হয় আগরউড? আগরউড থেকে সুগন্ধি তৈরির প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। প্রথমে Aquilaria নামের সবুজ আগরউড গাছের গায়ে গরম ধাতব রড বা ড্রিলের সাহায্যে ছিদ্র করা হয়। এরপর ওই ছিদ্রের মধ্যে বিশেষ ধরনের ফাঙ্গাস (ছত্রাক) প্রবেশ করানো হয়। এই ফাঙ্গাস গাছের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে, আর গাছ সেটিকে বিপদ হিসেবে ধরে নিয়ে গাঢ় কালো রেজিন উৎপন্ন করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এই রেজিন গাছের কাঠকে আগরউডে পরিণত করে।
advertisement
7/12
এরপর কাঠ সংগ্রহ করে তা থেকে Oud oil নিষ্কাশন করা হয়। এই তেলই বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সুগন্ধি তৈরির উপাদান। এই oud oil প্রতি কেজি ২৫ লক্ষ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়!
advertisement
8/12
কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয় এই কাঠ? আরব দেশগুলিতেআগরউড পোড়ানো হয় অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। - সুগন্ধি শিল্পে এই কাঠের রজন থেকে উচ্চমানের পারফিউম তৈরি করা হয়। - কোরিয়ায় এই কাঠ থেকে ওষধি ওয়াইন তৈরি করা হয়। - মধ্যপ্রাচ্যেপোশাক ও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
9/12
কতটা বিরল এই কাঠ? বিশ্বে প্রচুর আগরউড পাওয়া গেলেও 'কিনাম' সবচেয়ে বিরল। এটি এতটাই দুর্লভ যে, টাইটানিয়াম, ইউরেনিয়াম এবং প্লাটিনামের চেয়েও কম পাওয়া যায়! এটি আগরউড পরিবারের সবচেয়ে উন্নতমানের সুগন্ধি কাঠ হিসেবে পরিচিত।
advertisement
10/12
এক ব্যক্তি, মাহাফি (Mahaffey), ৬০০ বছরের পুরনো ১৬ কেজির এক টুকরো কিনাম কাঠ পেয়েছিলেন, যা ১৭১ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল! আবার শাংহাইয়ে মাত্র ২ কেজি কিনাম কাঠ ১৫৪ কোটি টাকায় বিক্রি হয়! অর্থাৎ, প্রতি কেজি কিনাম কাঠের দাম প্রায় ৭৭ কোটি টাকা!
advertisement
11/12
অত্যাধিক চাহিদার কারণে আগরউড গাছের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি, পরিবেশগত নানা সমস্যাও এর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। ফলে, দিন দিন এই কাঠের দাম আরও বেড়ে চলেছে।
advertisement
12/12
সাধারণ কাঠ বলতে আমরা যা বুঝি, তার চেয়ে আগরউড ও কিনাম সম্পূর্ণ আলাদা। এটি কেবল দামি নয়, এর গুণাগুণও অসাধারণ! একদিকে এটি বিশ্ববাজারে সুগন্ধি তৈরির জন্য অপরিহার্য, অন্যদিকে এর প্রাকৃতিক রেজিন অনন্য সুগন্ধ প্রদান করে। তবে দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এই কাঠকে রক্ষা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
সোনার চেয়েও দামি এই কাঠ! ১০ গ্রাম কাঠের দাম ১ কেজি সোনার সমান...জানেন কেন এত মূল্যবান?