অন্য কিছু হওয়ার জো নেই- পৃথিবীর সব বিমানের রঙ সাদা! কেন এমন হয়, জেনে নিন বিস্তারিত!

পৃথিবীতে কত শত সংস্থা রয়েছে যারা বিমান উড়ান পরিচালনা করে। এসব সংস্থা যাত্রী পরিষেবার জন্য নানা ধরনের বিমান ব্যবহার করে। পরিষেবা নিয়ে পরস্পর নানা ধরনের প্রতিযোগিতাতেও লিপ্ত। কিন্তু, একটি জায়গায় তারা সকলেই এক নিয়ম অনুসরণ করে।

বিমানের গায়ের রঙ সকলেরই সাদা। মনে হতে পারে এক একটি সংস্থার এক এক রঙের লোগো, কিন্তু বিমানগাত্রের আসল রঙ সাদাই হয়। সাদার উপর নিজের নিজের মতো করে কিছু রঙিন ছাপ রাখে এক একটি সংস্থা। কখনই বিমানের মূল অংশ রঙিন হয় না। কিন্তু কেন এমন হয়?

এর পিছনে অনেক ধরনের কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল নিরাপত্তা। অন্যটি অবশ্যই অর্থনীতি। যাত্রীদের সুবিধা এবং খরচের কথা মাথায় রেখেই মূলত সাদা রঙ বেছে নেওয়া হয়েছে বিমানের জন্য।

গরম থেকে রক্ষা: সাদা রঙ সব সময়ই অতিরিক্ত উত্তাপ থেকে রক্ষা করে। এটি সব থেকে ভাল প্রতিফলক। একটি বিমান তার উড়ানের সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ে যেতে পারে। প্রবল উষ্ণ আবহাওয়ায় তার যাতায়াত। ফলে বিমান গাত্রের রঙ সাদা হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। এতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। সাদা রঙ প্রায় ৯৯ শতাংশ সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে দিতে পারে।

বিমানগাত্রের গর্ত ও ফাটল: সাদা রঙের কারণে, বিমানের গায়ে যদি কোনও রকম ফাটল বা ছিদ্র হয়েও যায় তা সহজে ধরা পড়ে। রঙ গাঢ় হলে তা বোঝার পক্ষে তেমন সুবিধা হয় না।

দৃশ্যমানতা: অন্য যে কোনও রঙের চেয়ে সাদা রঙের দৃশ্যমানতা বেশি। প্রখর রোদের মধ্যেও সাদা রঙের বিমান সহজেই চোখে পড়ে। যা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অনেক সাহায্য করে।

ওজন হ্রাস: শুনতে আশ্চর্যজনক মনে হলেও একথা সত্যি যে সাদা রঙের ওজন বেশ খানিকটা কম হতে পারে। তাই অন্য কোনও গাঢ় রঙে বিমানগাত্র রাঙালে তার ওজন খানিকটা বেড়ে যেতেই পারে, যা উড়ানের পক্ষে খুব সুবিধাজনক নয়।

কম খরচ ও দীর্ঘ জীবন: অবশ্যই অর্থনীতি একটি বড় কারণ। বিমান রঙ করার ক্ষেত্রে সাদা রঙ ব্যবহার করলে খরচ কিছুটা কমে। আবার বিমানের শরীরে সাদা রঙ রোদে-জলেও অনেক বেশিদিন টিকে থাকতে পারে। অন্য রঙ তুলনায় ক্ষণস্থায়ী। প্রবল সূর্যালোক, বা বৃষ্টি সহ্য করা গাঢ় রঙের পক্ষে সম্ভব নয়- তা সহজেই বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে।