১০,২০,৩০, ৪০ ও ৫০ বছর পর ১ কোটি টাকার কত মূল্য হবে ?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- news18 bangla
Last Updated:
সময়কালে মুদ্রাস্ফীতি টাকার ক্রয়ক্ষমতাকে অনেক কমিয়ে দেয়। যদিও নামমাত্র ১ কোটি টাকা অপরিবর্তিত থাকে, প্রকৃত মূল্য ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। তাই স্মার্ট রিটায়ারমেন্ট ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
1/7

রিটায়ারমেন্টের পরিকল্পনা করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই মনে করি যে ১ কোটি টাকা একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? বাস্তব হল, আজকের ১ কোটি টাকা আগামী কয়েক দশকে একই মূল্য ধরে রাখতে পারবে না। মুদ্রাস্ফীতি (ইনফ্লেশন) নীরবে আপনার সঞ্চয়ের মূল্য কমিয়ে দেয়, আর সেই কারণেই শুধুমাত্র সেভিংসের উপর ভরসা করে ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখা সম্ভব নয়।
advertisement
2/7
মুদ্রাস্ফীতি আপনার টাকার প্রকৃত মূল্য কীভাবে কমিয়ে দেয়, তা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। যদি গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ৬% ধরা হয়, তাহলে আজকের ১ কোটি টাকা আগামী বছরগুলোতে কতটা মূল্য ধরে রাখতে পারবে—এই হিসেব সত্যিই চোখ খুলে দেওয়ার মতো।
advertisement
3/7
কয়েক বছর পর ১ কোটির প্রকৃত মূল্য কত থাকবে?মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে ২০২৫ সালের ১ কোটি টাকার ভবিষ্যৎ মূল্য কীভাবে কমে যায়, চলুন দেখে নেওয়া যাক—
advertisement
4/7
২০৩৫ সালে (১০ বছর পর): ১ কোটির মূল্য কমে প্রায় ৫৫.৮৩ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে।২০৪৫ সালে (২০ বছর পর): মূল্য আরও কমে মাত্র ৩১.১৮ লক্ষ টাকার সমান থাকবে।২০৫৫ সালে (৩০ বছর পর): ১ কোটির প্রকৃত মূল্য নেমে আসবে মাত্র ১৭.৪১ লক্ষ টাকা।২০৬৫ সালে (৪০ বছর পর): ১ কোটির দাম কমে প্রায় ৯.৭২ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে।২০৭৫ সালে (৫০ বছর পর): এই অঙ্কটি সঙ্কুচিত হয়ে কার্যত মাত্র ৫.৪২ লক্ষ টাকার শক্তির সমান থাকবে।
advertisement
5/7
অর্থাৎ নামমাত্র অঙ্কটি ১ কোটি টাকাই থাকবে, কিন্তু তার ক্রয়ক্ষমতা ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে। এ কারণেই মুদ্রাস্ফীতিকে উপেক্ষা করে তৈরি করা কোনও রিটায়ারমেন্ট পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।
advertisement
6/7
শুধু টাকা জমানোই যথেষ্ট?না! সেভিংস অ্যাকাউন্টে বা নগদ হিসেবে টাকা রেখে দিলে তার মূল্য ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এটি এক ধরনের “নীরব ঘাতক”, যা বছরের পর বছর আপনার পরিশ্রমের উপার্জনকে দুর্বল করে দেয়।
advertisement
7/7
ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রিডম পেতে কী করবেন ?আপনি যদি চান ভবিষ্যতেও আপনার টাকার শক্তি আজকের মতোই বজায় থাকুক, তাহলে সেই টাকা এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যা মুদ্রাস্ফীতিকে হার মানাতে পারে। যেমন—শেয়ার বাজার, SIP, রিয়েল এস্টেট, ব্যবসা বা স্টার্টআপ। এই ধরনের অ্যাসেটের বৃদ্ধি সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে দ্রুত হয়, ফলে দীর্ঘমেয়াদে আপনার সম্পদ কমে না, বরং বাড়তেই থাকে।