RBI-Repo Rate Explained: রেপো রেটে হাত দিও না! কেন লাগাতার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? নেপথ্যের কারণ জানুন

টানা তৃতীয়বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। স্বস্তি পেলেন মধ্যবিত্তরা। মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সদস্যরা। তবে খাবারের দামের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়লে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে শেষ বার সুদের হার ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল।

জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম টানতে ব্যর্থ সরকার। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সেই পুরনো কাসুন্দিই ঘাঁটলেন। এবারও মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশের নীচে নামানোর কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। তবে মুদ্রাস্ফীতি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত থাকে তাহলে নতুন পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।

গত ৩ মাসে ক্রমবর্ধমান এনডিটিএল (নিট চাহিদা এবং টাইম লায়াবিলিটিস)–এর উপর নগদ সংরক্ষণ অনুপাত (আইসিআরআর) ১০ শতাংশের উপর উঠেছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নগদ হ্রাস করার ঘোষণাও করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত লিকুইডিটির একটা বড় অংশ এই কাজে আরবিআইকে সাহায্য করবে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন রেপো রেট বাড়াচ্ছে না: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির উপর এখনও কোনও কাজ করা হয়নি’। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে খাবার এবং জ্বালানির দামে অস্থিরতা, দীর্ঘস্থায়ী ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে অদূর ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি অব্যাহত থাকবে’।

২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া চলতি অর্থবর্ষে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস আগের ৫.১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশ করেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মুল্যস্ফীতির হার ৬.২ শতাংশ, যা আগের পূর্বাভাসের (৫.২ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বর্তমানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৬.৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুমান করছে।

মুদ্রাস্ফীতির মূল কারণ: ভারতে সাধারণত বর্ষার শুরুতে খাবারদাবারের দাম বাড়ে। অর্থাৎ জুন মাস নাগাদ। এই পরিস্থিতি মোটামুটি চার মাস চলে। ২০২৩-এর মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্ন ৪.৩ শতাংশে পৌঁছয়। জুন মাসে ফের বাড়ে। কাঁচা আনাজ এবং শাকসবজির দাম দেখে অনুমান করা হচ্ছে, জুলাই-অগাস্টে দাম আরও বাড়বে।

এই প্রসঙ্গে শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘সবজির দাম যে কোনও সময় কমতে পারে। তবে এল নিনো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে খাবারের দামের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষার পটভূমিতে ভারতের সবজির দামবৃদ্ধির কারণ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার’।