Success Story: ডমিনোজ, পিৎজা হাটকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ! ১০০০ কোটি টাকার একটি পিৎজা কোম্পানি তৈরি করেছেন মধ্যবিত্ত ছেলে
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Success Story: এইচসিএলে নিজের টেক চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর সনম কাপুর ২০১১ সালে প্রথম লা পিনোজ পিৎজা আউটলেট খুলেছিলেন। এখন তিনি ৬০০ টিরও বেশি স্টোর-সহ ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।
advertisement
1/6

একটা সময় ছিল যখন ভারতে পিৎজা শব্দটি শুধু ডমিনোজ বা পিৎজা হাটের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এখন অনেক ভারতীয় ব্র্যান্ড প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এই গল্পটি চণ্ডীগড়ের একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত ছেলে সনম কাপুরের।
advertisement
2/6
এইচসিএলে নিজের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর সনম কাপুর ২০১১ সালে প্রথম লা পিনোজ পিৎজা আউটলেট খুলেছিলেন। এখন তিনি ৬০০ টিরও বেশি স্টোর-সহ ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। সনম কাপুর একটি আইটি কোম্পানিতে ভাল চাকরি করতেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই ছেলে সব সময়ই ভিন্ন কিছু করতে চাইতেন। তিনি সত্যিকার অর্থে ভারতীয় স্বাদের পিৎজা খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন। বিদ্যমান ব্র্যান্ডগুলির থেকে আলাদা কিছু করার চিন্তায় তিনি লা পিনোজ শুরু করেছিলেন।
advertisement
3/6
চাকরি ছেড়ে দেওয়া সহজ ছিল না, কিন্তু তিনি নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস করতেন। প্রাথমিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছিলই, কারণ পিৎজার ধারণাটি নতুন ছিল না এবং বড় ব্র্যান্ডগুলো একচেটিয়া বাজার পেয়েছিল। কিন্তু সনম হাল ছাড়েননি। তিনি বিপণনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেন। (Photo: AI Image)
advertisement
4/6
সনম পুরো পিৎজা কেনার পরিবর্তে আলাদা স্লাইসের বিক্রিতে জোর দেন। বাজেট সচেতন গ্রাহকদের কাছে বিষয়টা আকর্ষণীয় ছিল। ভারতের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব স্বাদ প্রোফাইল রয়েছে, তাই সনম স্থানীয় মশলা দিয়ে পিৎজা করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি তাজা পিজ্জার বিক্রিতে মনোনিবেশ করেছিলেন। (Photo: AI Image)
advertisement
5/6
সেই জন্যই লা পিনোজ প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর নতুন করে ময়দা মাখে, যেখানে কিছু বড় ব্র্যান্ড প্রতি ২৪ ঘণ্টা অন্তর তা করে। এতে লা পিনোজের পিৎজা সব সময়েই তাজা থাকে। পাশাপাশি, তিনি কেবল নিরামিষ বিকল্প অফার করেছিলেন, যা ভারতের বৃহৎসংখ্যক নিরামিষভোজী বাজার ধরতে সুবিধা দেয়। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকেও নিরামিষ এবং আমিষের মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।আর তিনি দামও কম রেখেছিলেন। (Photo: AI Image)
advertisement
6/6
লা পিনোজে গড় পিৎজার দাম ২০০ টাকা, যেখানে বৃহত্তর ব্র্যান্ডগুলির দাম ৩০০ টাকা। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে সুস্বাদু পিৎজা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। ২০১৭ সালে স্টোরের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছেছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। এখন ৬০০-রও বেশি আউটলেট রয়েছে। বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। সনমের উদ্যোগ দেখায় যে, সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম এবং গ্রাহকের প্রতি মনোযোগ দিলে ব্যবসায় যে কোনও কিছু অর্জন করা সম্ভব। মধ্যবিত্ত পটভূমি থেকে এসে তিনি তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। (Photo: AI Image)
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Success Story: ডমিনোজ, পিৎজা হাটকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ! ১০০০ কোটি টাকার একটি পিৎজা কোম্পানি তৈরি করেছেন মধ্যবিত্ত ছেলে