Success Story: একসময়ে পিয়নের চাকরি করতেন, আজ ৩ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি ফেভিকলের মালিক, চেনেন এনাকে?

গুজরাটের ভাবনগর জেলার মহুয়া নামে একটি ছোট শহরে বলওয়ান্ত পারেখ একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। গ্রামের স্কুল থেকে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা। তিনি আরও পড়াশোনার জন্য মুম্বাই গিয়েছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই তার মন ছিল ব্যবসার দিকে, কিন্তু পরিবারের টানাটানিতে তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। আইনজীবী হয়েছেন, কিন্তু অনুশীলন করেননি। তিনি তাঁর পড়াশোনা শেষ করেছিলেন, কিন্তু যখন অনুশীলনের কথা আসে, তখন তিনি অস্বীকার করেন।

তিনি কখনই আইনজীবী হতে চাননি। পড়ালেখার সময় বিয়েও করেন। দায়িত্ব বাড়তে থাকে এবং খরচ বাড়তে থাকে, তাই চাকরি নেন।

বলবন্ত পারেখ একটি ছাপাখানায় চাকরি করতেন, কিন্তু তাঁর মন ব্যবসায় প্রতি ছিল। কয়েকদিন ছাপাখানায় কাজ করার পর এক কাঠ ব্যবসায়ীর অধীনে পিয়নের চাকরি করতেন।

এসময় তাঁকে অফিসের গুদামে থাকতে হয়। গুদামে থাকার সময় তিনি কাঠের কাজ খুব কাছ থেকে দেখতেন। পিয়নের চাকরির পর অনেক চাকরি পরিবর্তন করেন।

এই সময়ে তিনি মোহন নামে এক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে দেখা করেন, যার সাহায্যে তিনি ব্যবসার দিকে প্রথম পদক্ষেপ নেন। ওই বিনিয়োগকারীর সাহায্যে তিনি পশ্চিম বিশ্বের দেশগুলো থেকে সাইকেল, সুতো, কাগজের রং ইত্যাদি জিনিসপত্র ভারতে আমদানি করতেন।

এই কাজের জন্য একটি জার্মান কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বলবন্ত পারেখ জার্মানি যাওয়ার সুযোগ পান। বলওয়ান্ত পারেখ জার্মানি থেকে ফিরে এসে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ডাইকেম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি কোম্পানি শুরু করেন।

তাঁর কোম্পানি জ্যাকব সার্কেল, মুম্বাইতে রঞ্জক, শিল্প রাসায়নিক ইউনিট উত্পাদন এবং ব্যবসা করছিল। কাঠের চাকরিতে থাকার সময়ে তিনি জেনে গিয়েছিলেন কীভাবে আঠা তৈরি হয়।

পরে তিনি আঠা তৈরির একটি কোম্পানি শুরু করেন। সংস্থার নাম দেয় ফেভিকল। সেই সময়ে বাকি যে সংস্থাগুলি আঠা তৈরি করত, সেই আঠাতে খুব দুর্গন্ধ থাকত।

কিন্তু বলওয়ান্ত উল্টো পথে হাঁটেন। তিনি দুর্গন্ধমুক্ত আঠা বাজারে নিয়ে আসেন। আজ এর ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে ৫৬টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। পরে তিনি মূল কোম্পানির নাম রাখে পিডিলাইট।

কোম্পানির বর্তমান মূল্য ৩ হাজার কোটি টাকা। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে, পিয়নের কাজ থেকে থেকে কেউ একজন তিন হাজার কোটি টাকার কোম্পানি গড়ে তুলতে পারেন। বলওয়ান্ত পারেখ এটাকে সত্য প্রমাণ করলেন।