SIP Calculator: ১০ বছরে ৫০ লাখ টাকা আয় ! মাসিক SIP-তে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে তা জেনে নিন

সকলেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা জমানোর স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, এর জন্য হয় বড় লটারি জেতা প্রয়োজন অথবা খুব বেশি আয় করা প্রয়োজন। বাস্তব কিন্তু এমন নয়। বিনিয়োগে সামান্য আর্থিক বোধগম্যতা এবং শৃঙ্খলা থাকলে যে কেউ মাত্র ১০ বছরে ৫০ লাখ টাকার একটি তহবিল তৈরি করতে পারেন।

কেউ যদি ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫০ লাখ টাকার একটি তহবিল তৈরি করার লক্ষ্য রাখে, তাহলে সবচেয়ে সহজ এবং নির্ভরযোগ্য উপায় হল একটি সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের (SIP) মাধ্যমে নিয়মিত মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা। একটি SIP-তে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করা যায়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চক্রবৃদ্ধি হারে একটি উল্লেখযোগ্য তহবিল তৈরি করে।

এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমান সময়ে SIP বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। অনেকেই এখন প্রতি মাসে SIP-তে বিনিয়োগ করছেন। তবে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত, তাই নিশ্চিত রিটার্ন আশা করা যায় না। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, এসআইপিতে গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

কত বিনিয়োগ করতে হবেবিভিন্ন রিটার্ন হারে ৫০ লাখ টাকা জমা করার জন্য মাসিক SIP-এর হিসাব নিম্নরূপ:- ৯% রিটার্নে: প্রতি মাসে ২৫,৮৩৭ টাকা বিনিয়োগ। মোট বিনিয়োগ হবে প্রায় ৩১ লাখ টাকা।- ১০% রিটার্নে: প্রতি মাসে ২৪,৪০৮ টাকা বিনিয়োগ। মোট ২৯.২৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ৫০ লাখ টাকা আসবে।- ১১% রিটার্নে: ২৩,০৪১ টাকার SIP। মোট বিনিয়োগ হবে ২৭.৬৫ লাখ টাকা।- ১২% রিটার্নে: প্রতি মাসে ২১,৭৩৫ টাকার SIP। ২৬.০৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ বছরে ৫০ লাখ টাকা হবে।

বিনিয়োগ মন্ত্রহোয়াইট ওক ক্যাপিটাল মিউচুয়াল ফান্ডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইক্যুইটি ফান্ডগুলি ওঠানামা করে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং রিটার্ন আরও ভাল হয়। প্রতিবেদন অনুসারে, একটি সফল SIP-এর সূত্র হল: তাড়াতাড়ি শুরু করা, নিয়মিত এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বজায় রাখা।

এই বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:- কমপক্ষে ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে SIP চালিয়ে যেতে হবে।- SIP মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না; বাজারের পতন হলেও বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে।- প্রতি বছর নিজের তহবিলের পর্যালোচনা করতে হবে এবং টপ-আপ বাড়াতে হবে।- একজন সার্টিফায়েডড আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া উপকারী হবে।