১০ হাজার, ২০ হাজার, ৬০ হাজার...! 'স্যালারি' যাই হোক, এই 'তিন' নিয়ম মানলে কখনও 'পকেট' খালি হবে না!

স্যালারি যতই হোক না কেন, ১০হাজার, ২০হাজার, ৬০ হাজার, অথবা ১ লক্ষ টাকা, মাসের শেষে আপনার পকেট পুরো ফাঁকা! দেখা যায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হয় অল্প কিছু টাকাই অবশিষ্ট থাকে অথবা আপনার টাকা একদম ফুরিয়ে ওয়ালেট শূন্য।

আর তারপরই আপনাকে টাকা ধার করতে হয়। ঋণ নিতে হয় অথবা মিতব্যয়ী জীবনযাপন শুরু করতে হয়। প্রতি মাসেই প্রায় প্রতিটি চাকরিজীবী মানুষেরই এই হাল হয়। যদি আপনি এই রকম পরিস্থিতিতে না যেতে চান, তাহলে এখনই ৩ 'জিনিস' করা শুরু করুন।

আজকের দ্রুতগতির পৃথিবীতে, অনেকের জীবনের যাবতীয় অঙ্ক স্যালারির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে।মাসের শুরুতে সবারই অ্যাকাউন্টে বেতন জমা হয়, কিন্তু দেখা যায় দিন ১০ যেতে না যেতেই তা শেষ হতে শুরু করে।

আর মাসের শেষে, যখন সারা মাসের হিসাব সামনে আসে আর দেখেন পকেট পুরো খালি, নিশ্চই আপনারও মাথায় হাত হাল হয়ে যায়? তখন কেবল উদ্বেগ এবং অনুশোচনা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।

এই রকম পরিস্থিতিতে আমরা বার বারই হাত কামড়াতে থাকি, আর মনে করি, আমাদের অন্তত কিছু টাকা থাকা উচিত ছিল। আসুন আজ এই প্রতিবেদনে সেই সিক্রেট 'মন্ত্র' শিখে নেওয়া যাক যাতে কোনওরকমেই এই দিন আর দেখতে না হয় পরের মাস থেকে।

আগে সঞ্চয় করো, তারপর খরচ করো:বেশিরভাগ মানুষ মাসের শেষে কিছু টাকা সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করে রাখে। কিন্তু এই সূত্রটি একদম ভুল, কারণ খরচ কখনও কমে যায় না। তাই এবার থেকে এই সূত্রটি উল্টে দিন, স্যালারি পেলে টাকা বিভিন্ন উপায়ে ভাগ করুন, যেমন ৫০-৩০-২০। ৫০ শতাংশ এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এবং বাকি ৫০ শতাংশ অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখুন।

আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যেকোনও ব্যক্তির প্রতি মাসে তার বেতনের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সঞ্চয় বা বিনিয়োগের জন্য রাখা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি বেতন ৩০,০০০ টাকা হয়, তাহলে ৬,০০০ টাকা আলাদা করে রাখুন।

এই অর্থ RD, PPF, SIP বা VPF এর মতো নিরাপদ এবং লাভজনক বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করুন। সঞ্চয়ের জন্য শৃঙ্খলাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বাইরে খাওয়া, অনলাইন কেনাকাটির লোভ, ক্রেডিট কার্ডের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার, এই অভ্যাসগুলি অনেক ক্ষেত্রেই আপনার সারা মাসের বাজেট ব্যালান্স ঘেঁটে দেয়।

প্রথম কয়েক মাসের খরচ লিখে রাখুন:যদি আপনি আপনার দৈনন্দিন খরচ লিখে রাখেন, তাহলে মাসের শেষে জানতে পারবেন মোট কত খরচ করেছেন। তাই এবার থেকে আপনার সমস্ত খরচ লিখে রাখা শুরু করে দিন।

কোথায় কোথায় খরচ কমাতে পারেন তার একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। একটি বাজেট তৈরি করে সাবধানে সেটি অনুসরণ করুন। ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন। যদি শেয়ার বাজার ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে অন্যান্য বিনিয়োগের বিকল্পও আছে, সেগুলি ট্রাই করে দেখুন।

ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন।SIP, মিউচুয়াল ফান্ড, PPF, RD, ফিক্সড ডিপোজিটের মতো বিকল্পগুলি ছোট সঞ্চয়ের জন্য ভাল। এছাড়াও, আপনার কিছু জরুরি তহবিল অবশিষ্ট থাকা উচিত। হঠাৎ অসুস্থতার ক্ষেত্রে, আপনার হাতে টাকার প্রয়োজন, তাই এর জন্য পরিকল্পনা করাও প্রয়োজন।

যদি আপনার ২০% অর্থ সঞ্চয় করা কঠিন মনে হয়, তাহলে ১০% দিয়ে শুরু করুন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি শুরু করুন। ধীরে ধীরে, যখন এটি অভ্যাসে পরিণত হবে এবং একইসঙ্গে আপনার মাসিক আয় বৃদ্ধি পাবে, তখন এটি ১৫% এবং তারপর ২০% এ বৃদ্ধি করুন। দেখুন মাসের শেষে আপনিও বড়লোক।