রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন বাতিল করছে ২০০০ টাকার নোট? আসল কারণ কি জানেন?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
Last Updated:
আরবিআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত ব্যাঙ্ককে অবিলম্বে ২ হাজার টাকার নোট ইস্যু বন্ধ করে দিতে হবে।
advertisement
1/7

এই মূহূর্তের সবথেকে বড় খবর হল, বাতিল হয়ে যাচ্ছে ২ হাজার টাকার নোট। শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। যার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ২ হাজার টাকার নোট আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করে দিতে হবে। আর এই নোট জমা বা বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী ২৩ মে থেকেই।
advertisement
2/7
আরবিআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত ব্যাঙ্ককে অবিলম্বে ২ হাজার টাকার নোট ইস্যু বন্ধ করে দিতে হবে। তবে নোট প্রত্যাহার সংক্রান্ত সময়সীমার পরেও ওই নোট বৈধ থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত ২০১৮-১৯ সাল থেকেই এই নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? সেটাই এখন দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
3/7
এই মূহূর্তের সবথেকে বড় খবর হল, বাতিল হয়ে যাচ্ছে ২ হাজার টাকার নোট। শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। যার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ২ হাজার টাকার নোট আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করে দিতে হবে। আর এই নোট জমা বা বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী ২৩ মে থেকেই।
advertisement
4/7
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণ: ১. ২০১৬ সালের নভেম্বরে ২ হাজার টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল। সেই সময় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। ফলে অর্থনীতিতে মুদ্রার চাহিদা মেটাতেই চালু হয়েছিল ২ হাজার টাকার নোট। সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন অঙ্কের ব্যাঙ্ক নোট বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
advertisement
5/7
২. ২ হাজার টাকার ব্যাঙ্ক নোটের ৮৯ শতাংশ ২০১৭ সালের আগে জারি করা হয়েছিল। এবার তাদের আনুমানিক জীবনকাল ৪ থেকে ৫ বছর ধরা হয়। ৩. রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া লক্ষ্য করেছে যে, সাধারণ লেনদেনের জন্যে ২ হাজার টাকার নোট সাধারণত ব্যবহার করা হচ্ছে না। ৪. ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট বাজারে ছিল। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৭.৩ শতাংশ কমে তা ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য নোটের তুলনায় ২ হাজার টাকার নোটের পরিমাণ ১০.৮ শতাংশ।
advertisement
6/7
৫. রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘ক্লিন নোট পলিসি’-র অনুসরণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন ইউপিএ জমানায় আরবিআই ২০০৫ সালের আগে জারি করা সমস্ত ব্যাঙ্ক নোট ফেজ আউট করার কথা ঘোষণা করেছিল। পুরনো নোট ব্যবহারের সময়সীমা ছিল ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ওই বছরের ১ এপ্রিল থেকে ব্যাঙ্কে সেই নোটের বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হয়।
advertisement
7/7
৬. দেশের মুদ্রা পরিকাঠামোকে উন্নত করতে এবং কম মূল্যের নোটের প্রাপ্যতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।