Dragon Fruit: বিদেশি ফলের চাষ জীবন বদলাচ্ছে মহিলাদের! বাড়ছে আয়ের অঙ্ক, মন ভাল করা দৃশ্য পুরুলিয়ায়

ড্রাগন চাষের মধ্য দিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা। কাশীপুরের শ্যামপুর গ্রামের মহিলা চাষিরা নিজেদের হাতেই ড্রাগন গাছ রোপণ, যত্ন, পরিচর্যা, ফল সংগ্রহ এবং বাজারজাতকরণ, চাষের প্রতিটি ধাপে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)

কাশীপুরের শ্যামপুর গ্রামে অবস্থিত অলিভ ব্রাঞ্চ ফার্মে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া ড্রাগন চাষে বর্তমানে গ্রামের মহিলারাই এগিয়ে এসেছেন। ড্রাগন গাছ রোপণ থেকে শুরু করে নিয়মিত পরিচর্যা, গাছের যত্ন, ফল সংগ্রহ এবং বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করা, চাষের প্রতিটি ধাপে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন গ্রামের মহিলারা।

গ্রামের মহিলা চাষি সন্তোষী রাজোয়াড় জানান, “ড্রাগন চাষের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এর মাধ্যমে আমরা শুধু রোজগারের পথই খুঁজে পাচ্ছি না, পাশাপাশি বিদেশি ফলের চাষ সম্পর্কেও নতুন নতুন বিষয় শিখছি। এই ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কেও আমাদের ধারণা তৈরি হচ্ছে।"

অন্যদিকে অলিভ ব্রাঞ্চ ফার্মের কর্ণধার অভিষেক খান জানান, “কাশীপুরের শ্যামপুর গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন চাষ শুরু করেছি। শুরু থেকেই গ্রামের মহিলাদের এই চাষের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গাছ লাগান থেকে শুরু করে ফলন ও পরিচর্যার যাবতীয় দায়িত্ব তাঁরাই সামলাচ্ছেন। এর ফলে তাঁরা আধুনিক ও লাভজনক চাষ পদ্ধতি জানতে পারছেন এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।”

এই উদ্যোগের ফলে শ্যামপুর গ্রামের মহিলাদের জীবনে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। ড্রাগন চাষ শুধু একটি নতুন কৃষি উদ্যোগ নয়, বরং গ্রামের মহিলাদের আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার এক শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

ভবিষ্যতে এই ড্রাগন চাষ আরও বিস্তৃত হলে এলাকার আরও বহু মহিলা এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)