PPF-এর এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জানা আছে কি? নাহলে কিন্তু বাড়বে বিপদ

মানুষ নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য বিনিয়োগ করে থাকেন। আর এর জন্য তাঁরা এমন মাধ্যম বা বিকল্প খোঁজেন, যা একাধারে উচ্চ রিটার্ন দেবে, অন্যদিকে গচ্ছিত টাকাও সুরক্ষিত থাকবে। আর এই সমস্ত বিনিয়োগ বিকল্পের মধ্যে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ হল ভারত সরকারের একটি জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্প। আকর্ষণীয় ট্যাক্স বেনিফিট এবং ঝুঁকি মুক্ত রিটার্নের জন্য অচিরেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই স্কিম। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মধ্যে ঘুরপাক খায় যে, একজন ব্যক্তি কি একাধিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন? আর এই প্রশ্নের জবাব হবে, না। একজন ব্যক্তি কখনও একাধিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।

১৯৬৮ সালের পিপিএফ স্কিম (বর্তমানে পিপিএফ স্কিম, ২০১৯) অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির নামে কেবল একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। নিজের নামে একাধিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না বিনিয়োগকারী। এমনকী যদি সেগুলি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরেও থাকে, তাতেও একজনের জন্য একটাই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বরাদ্দ। যদি কোনও ব্যক্তির নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়, তাহলে পরবর্তী অ্যাকাউন্টটিকে অবৈধ বলে গণ্য করা হবে এবং সেগুলিতে জমা করা অর্থ কোনও রকম সুদ ছাড়াই ফেরত দেওয়া হবে। তবে যৌথ ভাবে বা জয়েন্টলি একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এই নিয়ম রেগুলার এবং মাইনর - উভয় ধরনের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

নাবালক বা মাইনরদের জন্য পিপিএফ অ্যাকাউন্ট:যদিও একজন ব্যক্তির নামে একাধিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে না, তবুও তিনি একজন নাবালক সন্তানের জন্য একটি পৃথক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এর জন্য সেই ব্যক্তি অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে একটি শর্ত আছে। অভিভাবক এবং তাঁর নাবালক সন্তান উভয়ের অ্যাকাউন্টের জন্যই একটি আর্থিক বছরে ডিপোজিটের সীমা ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, যদি বিনিয়োগকারী একটি আর্থিক বছরে নিজের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকা জমা করেন, তাহলে একই মেয়াদের মধ্যে নিজের নাবালক সন্তানের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে মাত্র ৫০,০০০ টাকা জমা করতে পারবেন তিনি।

ভুল করে দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললে কী করণীয়?যদি বিনিয়োগকারী অসাবধানতাবশত দ্বিতীয় পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাঙ্ক অথবা ডাকঘর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে (সাধারণত ডাক বিভাগ বা অর্থ মন্ত্রক) এই বিষয়ে অবহিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টটি সাধারণত বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং বিনিয়োগকারী কেবল নিজের জমা করা মূল টাকাটাই ফেরত পাবেন। দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি কোনওরকম সুদ পাবেন না।