পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিমে ৮ লাখ টাকা রেখেছেন? প্রতি মাসে কত টাকা হাতে পাবেন দেখুন

কত রকমের বিনিয়োগকারী রয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন তাঁদের চাহিদা। কেউ চান বিনিয়োগের উপর চড়া হারে সুদ। আবার কেউ মাসিক রোজগার। পোস্ট অফিসে সব ধরণের বিনিয়োগকারীদের জন্যই কোনও না কোনও স্কিম রয়েছে। এখানে টাকা থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদে সঙ্গে মেলে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্নও।

অবসরের পর মাসিক আয় বন্ধ। তাহলে চলবে কী করে? অনেকেই তাই নিয়মিত আয় দেয় এমন স্কিমের তত্ত্বতালাশ করেন। তাঁদের জন্য পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিম আদর্শ। এই স্কিমে এককালীন বিনিয়োগ করতে হয়। তারপর থেকে প্রতি মাসে মেলে সুদের টাকা। শুধু অবসরপ্রাপ্তরা নন, যাঁদের হাতে মোটা টাকা আছে এবং নিয়মিত রোজগার চান, তাঁরাও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।

সুদের হার: পোস্ট অফিসের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মান্থলি ইনকাম স্কিমে ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর সুদ মিলতে শুরু করে। অর্থাৎ বিনিয়োগের পরের মাস থেকেই নিয়মিত আয়ের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।

ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ: পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিমে সিঙ্গল এবং জয়েন্ট, দু’রকমের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা। সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। আর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা।

বলে রাখা ভাল, মান্থলি অ্যাকাউন্ট স্কিমে বিনিয়োগ করতে হলে পোস্ট অফিসে প্রথমে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনও ব্যক্তি এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এখন পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিমে যদি কেউ ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রতি মাসে তিনি কত টাকা হাতে পাবেন? এমআইএস ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৭.৪ শতাংশ সুদের হারে ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে প্রতি মাসে ৪,৯৩৩ টাকা আয় হবে।

এমআইএস-এর মেয়াদ পাঁচ বছর। অর্থাৎ গ্রাহক পাঁচ বছর টানা এই আয় পাবেন। তারপর ফের বিনিয়োগ করতে হবে। তবে যদি অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে ১ বছর পর এবং ৩ বছর আগে যদি কেউ বিনিয়োগ তুলে নিতে চান তাহলে মূলধন থেকে ২ শতাংশ অর্থ কেটে নেওয়া হয়। আর ৩ বছরের পর এবং ৫ বছরের আগে টাকা তুলে নিলে বিনিয়োগের ১ শতাংশ কেটে বাকিটা ফেরত দেওয়া হয়।