Buying Car: গাড়ি কেনার প্ল্যান করছেন? তার আগে জেনে নিন ২০/৪/১০-এর নিয়ম

সকলেই গাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখেন। আর গাড়ি কেনা একটা অভিজ্ঞতাও বটে! কী রঙের কিংবা কেমন ডিজাইনের গাড়ি কেনা হবে, সেটা আগে থেকে ঠিক করে রাখতে হয়! আবার সেই সঙ্গে বাজেটের দিকটাও খেয়াল রাখতে হয়। তবে গাড়ির কেনার ক্ষেত্রে মাথায় রাখা উচিত ২০/৪/১০ নীতি। যা বছরের পর বছর ধরে মেনে আসছেন ক্রেতারা।

২০/৪/১০ নীতি কী?গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ২০/৪/১০ নীতিতে মোট ৩টি মূল উপাদান থাকে। আর সেগুলি হল ডাউন পেমেন্ট, মাসিক খরচ এবং লোন রিপেমেন্ট।

ডাউন পেমেন্ট:২০/৪/১০ নীতি অনুযায়ী, পছন্দ করা গাড়ির মোট মূল্যের ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট হিসাবে দিয়ে দিতে হবে। এতে লোনের বোঝাটা অনেকটাই কমে যাবে। ফলে মাসে মাসে পরিশোধ করতেও খুব বেশি পরিমাণ প্রদান করতে হবে না।

লোন রিপেমেন্ট:মাসে মাসে ইএমআই-এর মাধ্যমে লোন পরিশোধ করার ক্ষেত্রে যে মেয়াদ পাচ্ছেন গ্রাহক। ২০/৪/১০ নীতি অনুযায়ী, লোন পরিশোধ করার জন্য ৪ বছরের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয় একজন ক্রেতার। এতে বেশি সুদ দিতে হয় না এবং আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।

মাসিক খরচ:মাসিক লোনের কিস্তি ছাড়াও গাড়ি সংক্রান্ত অন্যান্য খরচের কথাটাও মাথায় রাখা জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম হল - রক্ষণাবেক্ষণের চার্জ, গাড়ি বিমান প্রিমিয়াম ইত্যাদি। আর এই রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত খরচ হতে হবে ক্রেতার মাসিক আয়ের মাত্র ১০ শতাংশ।

কীভাবে এই সূত্র কাজ করে?ধরা যাক, একজন গ্রাহকের মাসিক আয় ২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ তাঁর বার্ষিক আয় ২৪ লক্ষ টাকা। এবার তিনি যে গাড়িটি কিনতে চাইছেন, তার মূল্য ১২,৮৪,০০০ টাকা। এবার হিসাব করার জন্য তিনি ২০/৪/১০ সূত্র কাজে লাগালে কী হবে, সেটাই নিম্নলিখিত

২০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট:২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নীতি অনুযায়ী, ওই গ্রাহককে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ২,৫৬,৮০০ টাকা ডাউনপেমেন্ট করতে হবে।

৪ বছরের লোন:ডাউন পেমেন্টের পরে বাকি থাকছে ১০২৭২০০ টাকা। এবার ৪ বছরের নীতি অনুযায়ী তাঁকে ৪ বছর বা তার কম সময়ের মেয়াদের জন্য ঋণ নিতে হবে।

১০ শতাংশ মাসিক খরচ:১০ শতাংশ মাসিক খরচের সীমা অনুযায়ী, প্রিমিয়াম, রক্ষণাবেক্ষণ, অপারেশন এবং লোনের কিস্তি কখনওই যেন ২০০০০ টাকার বেশি না হয়।