Petrol Pump Business in India: ভারতে পেট্রল পাম্প ব্যবসা কি সত্যিই লাভজনক? জানুন মুনাফা, খরচ ও লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Petrol Pump Business in India: ভারতে পেট্রল পাম্প ব্যবসা লাভজনক হতে পারে যদি তা সঠিক জায়গা ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায়। এই প্রতিবেদন থেকে জানুন ব্যবসার খরচ, আয়ের উপায় ও কীভাবে সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করবেন...
advertisement
1/16

ভারতে পেট্রল পাম্প চালানো অনেকের কাছেই একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। সারা দেশে কোটি কোটি গাড়ির কারণে পেট্রল ও ডিজেলের চাহিদা সবসময় থাকে, যার জোগান দেয় এই ফুয়েল স্টেশনগুলি।
advertisement
2/16
তবে বাস্তবে এই ব্যবসার লাভের চিত্র অনেকটাই জটিল এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো এই ব্যবসার লাভজনকতা, খরচ ও আয়ের উৎস, পাশাপাশি কীভাবে সরকারি পোর্টাল petrolpumpdealerchayan.in এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
advertisement
3/16
ভারতে পেট্রল পাম্পের লাভের হার ও আয়ের ধরন একটি পেট্রল পাম্পের লাভ মূলত নির্ভর করে এর অবস্থান, প্রতিদিনের বিক্রির পরিমাণ, খরচ ও তেল বিপণন সংস্থাগুলির (OMC) কমিশনের হার—যেমন ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ওপর।
advertisement
4/16
লাভের হার প্রতি লিটার পেট্রল বিক্রিতে প্রায় ১.৫ টাকা থেকে ৩ টাকা এবং ডিজেলে ২ টাকা থেকে ৩ টাকা অবধি কমিশন পাওয়া যায় (সময়ের সঙ্গে এটি বদলাতে পারে)। যদিও এই হার কম মনে হতে পারে, তবে দৈনিক প্রচুর পরিমাণে বিক্রির কারণে তা থেকেই ভাল আয় হয়। শহরে একটি গড় পাম্প দৈনিক ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ লিটার বিক্রি করে, যার ফলে দৈনিক কম বেশি মিলিয়ে ১৫,০০০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা অবধি উপার্জন সম্ভব হয়।
advertisement
5/16
অতিরিক্ত আয়ের উৎস অনেক পেট্রল পাম্প শুধুমাত্র জ্বালানি বিক্রির ওপর নির্ভর না করে নিচের পরিষেবাগুলি দিয়ে বাড়তি আয় করে— কনভিনিয়েন্স স্টোর: স্ন্যাকস, ঠান্ডা পানীয়, গাড়ির সামগ্রী ইত্যাদি বিক্রি করে। সার্ভিস স্টেশন: গাড়ি ধোওয়া, টায়ার পরিষেবা, মাইনর সার্ভিসিং। লয়ালটি প্রোগ্রাম: ফুয়েল কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত ক্রেতা ধরে রাখার ব্যবস্থা।
advertisement
6/16
চালানোর খরচ এই ব্যবসা চালাতে ল্যান্ড লিজ/ইএমআই, কর্মচারীর বেতন, ইলেকট্রিসিটি বিল, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি খরচ হয়। শহরের ক্ষেত্রে বেশি ভাড়া থাকায় লাভ কমে যেতে পারে। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনায় এবং ভাল জায়গায় থাকলে লাভজনক হওয়া সম্ভব।
advertisement
7/16
ডিজেল ডোর ডেলিভারি: বাড়তি আয়ের একটি উপায় ডিজেল ডোর ডেলিভারি বা মোবাইল ফুয়েল পরিষেবা ব্যবসার একটি নতুন দিক। এখানে নির্মাণ সংস্থা, শিল্প কারখানা বা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মতো বড় গ্রাহকদের কাছে সরাসরি ডিজেল পৌঁছে দেওয়া হয়।
advertisement
8/16
এই মডেলে কম পরিকাঠামো খরচে ব্যবসা বাড়ানো যায় এবং গ্রাহকদের সুবিধাও হয়। সরকারের অনুমোদিত মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে এই পরিষেবা নিরাপদ ও আইনি ভাবে পরিচালিত হয়।
advertisement
9/16
বাজারের চাহিদা ও প্রতিযোগিতা জ্বালানি একটি প্রয়োজনীয় পণ্য এবং এর চাহিদা ভারতে সর্বদা বেশি। তবে বড় শহরে অনেক পাম্প থাকায় প্রতিযোগিতাও বেশি। গ্রামাঞ্চলে কম প্রতিযোগিতা থাকলেও বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলক কম হতে পারে। তাই ব্যবসার জায়গা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
10/16
শহর বনাম গ্রামীণ পেট্রল পাম্প শহরাঞ্চল: উচ্চ বিক্রি, তবে খরচও বেশি (জমির ভাড়া, কর্মচারী, প্রতিযোগিতা)। গ্রামীণ অঞ্চল: কম প্রতিযোগিতা ও কম খরচ, তবে বিক্রি কম। তবে ভালো লোকেশনে থাকলে লাভজনক হয়।
advertisement
11/16
ইভি (EV) যুগে কী হবে পেট্রল পাম্পের ভবিষ্যৎ? ইলেকট্রিক গাড়ির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ভবিষ্যতে পেট্রল পাম্পের লাভে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এই পরিবর্তন ধীরে ধীরে হবে। আগামী কয়েক দশকেও পেট্রল ও ডিজেলের চাহিদা থাকবে। তাই অনেক পেট্রল পাম্প এখন ইভি চার্জিং স্টেশন সংযোজনের পরিকল্পনা করছে।
advertisement
12/16
মোবাইল পেট্রল পাম্প / ডিজেল ডেলিভারি সার্ভিসের সুবিধা এই মডেলে কম খরচে ব্যবসা শুরু করা যায়। আলাদা স্টেশন না বানিয়ে ফুয়েল ট্রাকের মাধ্যমে ডিজেল সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। ফলে লজিস্টিক খরচ কমে এবং সুবিধাও বেশি হয়।
advertisement
13/16
কীভাবে পেট্রল পাম্প লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন? আপনি যদি পেট্রল পাম্প খুলতে চান, তাহলে প্রথমে petrolpumpdealerchayan.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
advertisement
14/16
আবেদনের ধাপগুলি – যোগ্যতা: ভারতীয় নাগরিক হতে হবে, বয়স কমপক্ষে ২১ বছর, শিক্ষাগত যোগ্যতা ১০+২ (গ্রামাঞ্চলে ছাড় আছে), নিজের বা লিজে নেওয়া জমি থাকতে হবে। – রেজিস্ট্রেশন: পোর্টালে গিয়ে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন। – বিজ্ঞাপন খোঁজা: নিয়মিত তেল কোম্পানিগুলি নতুন পাম্প খোলার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। – আবেদন জমা: অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিন ও ফি প্রদান করুন। – জমি পরিদর্শন: জমির অবস্থান খতিয়ে দেখা হয়। – চূড়ান্ত নির্বাচন: কম্পিউটারাইজড লটারি বা বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন হয়।
advertisement
15/16
প্রাথমিক বিনিয়োগ কত লাগে? একটি পেট্রল পাম্প খোলার জন্য ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি পর্যন্ত বিনিয়োগ লাগে। এই বিনিয়োগের মধ্যে পড়ে: জমির খরচ, নির্মাণ খরচ, যন্ত্রপাতি ও কর্মক্ষম মূলধন।
advertisement
16/16
সব মিলিয়ে, পেট্রল পাম্প ব্যবসা লাভজনক হতে পারে, বিশেষত উচ্চ চাহিদা যুক্ত এলাকায় যদি তা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায়। তবে এতে ঝুঁকিও থাকে—মূল্য ওঠানামা, প্রতিযোগিতা, ও বাজারের পরিবর্তন। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করে এই ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Petrol Pump Business in India: ভারতে পেট্রল পাম্প ব্যবসা কি সত্যিই লাভজনক? জানুন মুনাফা, খরচ ও লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম...