New Business Ideas: দেশের সব প্রান্তেই এখন তুঙ্গে, এই জিনিসটির ব্যবসা করে প্রতি মাসে নিশ্চিত ভাবে আয় হবে ২ লক্ষ টাকা

কেউ যদি কোনও ছোট ব্যবসার কথা চিন্তা করেন, তাহলে তিনি কার্ডবোর্ডের বাক্স তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দেশে কার্টনের চাহিদা বাড়ছে। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরে অনলাইন কেনাকাটার উন্মাদনাও দ্রুত হারে বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে বড় এমনকী ক্ষুদ্রতম জিনিসপত্রের অনলাইন ডেলিভারির বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্টনের ব্যবহারও দেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে। কার্টনের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই কার্টনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও প্রচুর আয় করছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যবসা খুবই উপকারী হতে পারে।

বাজারে কার্টনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে:বাজারে প্যাকেজিং কার্টনের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্যবসা শুরু করেন, তবে তিনি প্রচুর মুনাফা পেতে পারেন। আমরা যদি যে কোনও ইলেকট্রনিক আইটেমের দিকে তাকাই, যেমন - টিভি, মোবাইল কিংবা অন্যান্য ই-পণ্য, এই সবগুলোরই প্যাকেজিং এই বাক্স দিয়েই করা হয়। ভারতে যেমন অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তেমনই এই কার্টনের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। সুতরাং এই ব্যবসায় ভাল লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারি সাহায্য:যে কোনও ব্যবসা শুরু করার আগে মার্কেট রিসার্চ করা এবং এর প্রতিটি খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। তাই এই কার্টনের ব্যবসা শুরু করার আগে এটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে বিশদে জানা উচিত। এর প্রস্তুতি, উৎপাদন এবং বিপণন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান এই ব্যবসাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

কারখানা চালু করার আগে এই কাজটি করতে হবে:কার্ডবোর্ডের বাক্সগুলি তৈরি করতে প্রায় ৫,৫০০ ফুটের মতো মতো জায়গার প্রয়োজন। এটি শুরু করার আগে MSME-তে রেজিস্টার করতে হবে। এটি করার মাধ্যমে সরকার প্রদত্ত সাহায্যও পাওয়া যাবে। এগুলি ছাড়াও ফ্যাক্টরি, পাওয়ার সার্কিট এবং জিএসটি রেজিস্টারের প্রয়োজন হতে পারে।

কারখানা চালু করতে কত টাকা খরচ হবে?নিজেদের জমিতে একটি কারখানা চালু করতে কার্টন তৈরির কাঁচামাল ছাড়াও প্রয়োজন হবে মেশিনের। একটি অটো মেকানিক মেশিন কিনতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। অন্যদিকে ফুল অটো মেশিনের ক্ষেত্রে এই বাজেট বাড়তে পারে।

ক্রাফট পেপার প্রধানত কার্ডবোর্ড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাই কেউ যদি ক্রাফ্ট পেপার ব্যবহার করেন, তবে বাক্সের মানও ভাল হবে। এর বাইরে হলুদ বোর্ড, আঠা এবং তারের প্রয়োজন হবে। এই ধরনের অনেক মেশিন আছে, যা সহজেই অনলাইন থেকে কেনা যেতে পারে। যদি রোজগারের কথা ধরা হয়, তাহলে এই ব্যবসায় সহজেই প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।