Mutual Fund Investment: মিউচুয়াল ফান্ডে ১০ বছর জন্য ১০ লাখ টাকা রাখলে কত রিটার্ন পাবেন জেনে নিন

মিউচুয়াল ফান্ড হল বিনিয়োগের সবচেয়ে সহজ এবং সরল পদ্ধতি। নিয়মিত সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে মোটা কর্পাস তৈরি করা হয়। ইদানীং তাই মিউচুয়াল ফান্ডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। যাঁরা সরাসরি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান না, তাঁরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন।

মিউচুয়াল ফান্ডে দু’ভাবে বিনিয়োগ করা যায়। এসআইপি এবং লাম্পসাম। এসআইপিতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। যাঁরা একসঙ্গে মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন না তাঁদের জন্য এটা আদর্শ। লাম্পসাম মানে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। মেয়াদ শেষে মেলে রিটার্ন।

মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়। এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে রিটার্নও বেশি পাওয়া যায়। কারণ মিউচুয়াল ফান্ডে কম পাউন্ডিংয়ের সুবিধা মেলে। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এখন কেউ যদি মিউচুয়াল ফান্ডে ১০ বছর মেয়াদে ১০ লাখ টাকার লাম্পসাম বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন? লাম্পসাম ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ১০ বছরে ১২ শতাংশ সুদ ধরলে তিনি ৩১,০৫,০৪৮ টাকা রিটার্ন পাবেন। এক্ষেত্রে সুদ হিসেবে মিলবে ২১,০৫,০৪৮ টাকা।

বিপিএন ফিনক্যাপের ডিরেক্টর একে নিগম বলছেন, মিউচুয়াল ফান্ডে সবসময় দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা উচিত। তবেই কমপাউন্ডিংয়ের সুবিধা মিলবে। পাশাপাশি রিটার্নের পরিমাণও বাড়বে। সেটা এসআইপি হোক কিংবা লাম্পসাম বিনিয়োগ। অনেক মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম থেকে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীরা ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ হারেও রিটার্ন পেয়েছেন।

তবে মাথায় রাখতে হবে, মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের সঙ্গে যুক্ত। তাই গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন মিলবে ভাবা উচিত নয়। ঝুঁকি সবসময়ই রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীর আয়, লক্ষ্য এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বুঝেই বিনিয়োগ করা উচিত।

মিউচুয়াল ফান্ড অ্যাসোসিয়েশন AMFI-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ইক্যুইটি ফান্ডে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়। এরপর রয়েছে স্মল ক্যাপ ফান্ড। সেক্টরাল ফান্ডে বিনিয়োগ থেকেও কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন বিনিয়োগকারীরা। লার্জ ক্যাপ ফান্ডগুলিও ভাল রিটার্ন দিয়েছে।