New Business Ideas: কম পুঁজিতে ‘এই’ ব্যবসা শুরু করুন, ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, প্রতি মাসে হেসেখেলে ৫০ হাজার টাকা রোজগার হবে

বর্তমান সমাজে গৃহবধূরা আর শুধু সংসারের দায়িত্বেই সীমাবদ্ধ নন, বরং আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন নিজেদের প্রচেষ্টায়। এমনই এক উদাহরণ উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গৃহবধূ সম্পা, নবনীতা হালদার। রাসায়নিক উপাদান ছাড়াই সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে সাবান তৈরি করে তারা এখন নিজের সংসারের আর্থিক হাল ধরেছেন।

তাদের তৈরি সাবান সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক উপাদানে গঠিত। তিনি ব্যবহার করেন প্রাকৃতিক তেল, গ্লিসারিন, কাঠকয়লা ও এসেন্স। সাবান তৈরির ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন — ঠান্ডা ও গরম প্রক্রিয়া। ঠান্ডা প্রক্রিয়ায় ক্ষার ও তেল একত্রে মিশিয়ে নির্দিষ্ট আকারে তৈরি করে তা শুকাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। অন্যদিকে, গরম প্রক্রিয়ায় সাবান রান্না করতে হয়, যেখানে অল্প সময়েই তা প্রস্তুত করা যায় এবং সহজেই সুগন্ধি ও রঙ যোগ করা সম্ভব হয়।

তাদের সাবান তৈরির যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে, নিজের বাড়ির রান্নাঘরেই। ধীরে ধীরে তাঁর পণ্যের মান ও জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাড়িতেই প্রক্রিয়াজাত সাবান তৈরি করে প্যাকেজিং থেকে বিক্রির পুরো কাজ নিজেই সামলান। তাঁর স্বামীও এ কাজে পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা তাঁদের পারিবারিক উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করেছে।

এখন অনলাইন মাধ্যমেও সাবান বিক্রি করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে অর্ডার গ্রহণ করে তারা সারা বছর ধরে ব্যবসা চালাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে এবং অনলাইন ক্রেতাদের কাছ থেকে নবনীতার অর্গানিক সাবান যথেষ্ট প্রশংসা পাচ্ছে।

কয়েক বছর আগেও গ্রামীণ গৃহবধূদের আর্থিক অবস্থা এতটা দৃঢ় ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে সম্পা, নবনীতার মতো অনেক মহিলা ঘরে বসেই বিভিন্ন হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে চলেছেন। তাঁদের এই ছোট উদ্যোগগুলো আজ স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।

নিজেদের উপার্জনের মাধ্যমে এই নারীরা শুধু সংসারে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন না, বরং নিজেদের মর্যাদাও প্রতিষ্ঠা করছেন। সম্পা, নবনীতা হালদারের মতো অনেক গৃহবধূ এখন সমাজে অনুপ্রেরণার প্রতীক — যাঁরা দেখিয়ে দিচ্ছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে ঘরের ভেতর থেকেই গড়ে তোলা যায় সাফল্যের দৃষ্টান্ত।