Money Making Tip: FD-তে টাকা না রেখে বরং বিনিয়োগ করুন এই গাছের উপর, হাতে আসবে মুঠো মুঠো টাকা !
- Written by:Trending Desk
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
Money Making Tips:এফডি-তে টাকা ফেলে না রেখে বিনিয়োগ করুন এই গাছের চাষে। সঠিক যত্ন নিলে বছরে লক্ষাধিক টাকা আয় সম্ভব। এই চাষে খরচ কম, লাভ বেশি—গ্রাম কিংবা শহর, দুই জায়গাতেই করা যায়।
advertisement
1/5

বর্তমানে ভারতে একাধিক বিনিয়োগের বিকল্প রয়েছে। তবে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে অনেকে ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট (FD)-র উপরই ভরসা করেন। তবে অনেকেই এফডি-র পরিবর্তে সেগুন গাছ চাষের মাধ্যমে বিনিয়োগ করার দিকে ঝুঁকছেন। একদিকে এফডি-তে ৮% হারে সুদ মেলে। যা আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। কিন্তু অন্যদিকে সবুজে ভরা সেগুনের বাগান কিন্তু আগামী কয়েক বছরে ২০-২৫ লক্ষ টাকা লাভের দিকটা নিশ্চিত করছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক ধৈর্য্যের প্রয়োজন থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠবেই যে, দ্রুত লাভ না কি স্থায়ী সম্পদ? তাই আজকের প্রতিবেদনে এই দুই বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
2/5
সেগুন কাঠ:সেগুন আসলে মূল্যবান কাঠগুলির মধ্যে অন্যতম। এই গাছ বিশেষ করে কর্ণাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুর মতো উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে জন্মায়। এই গাছের বৃক্ষ হতে প্রায় ২০-২৫ বছর সময় লেগে যআয়। এক একর জমিতে সেগুন গাছ চাষ করলে ২০-২৫ বছর পর ১০-১৫ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। অর্থাৎ প্রতি গাছ থেকে ৫,০০০-৭,০০০ টাকা আয় করা যেতে পারে। তবে প্রথম ১০-১৫ বছরে পূর্ণ বৃক্ষ না হওয়া গাছ কাটা হলেও আংশিক ভাবে ১-২ লক্ষ টাকা আয় হতে পারে।
advertisement
3/5
এছাড়া, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে কিন্তু কাঠের দামও বৃদ্ধি পায়, যা দীর্ঘমেয়াদে ভাল লাভ দেয়। এতে প্রতি একর জমিতে এই চাষের জন্য প্রাথমিক ভাবে ২৫,০০০-৪০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে আবহাওয়া, পোকামাকড় এবং অবৈধ ভাবে গাছ কাটার ঝুঁকির দিকটাও মাথায় রাখা আবশ্যক। এছাড়াও কিছু রাজ্যে আবার সেগুন চাষের জন্য আইনি অনুমতিরও প্রয়োজন হয়।
advertisement
4/5
উচ্চ রিটার্ন প্রদানকারী এফডি: নিরাপদ এবং সহজ বিকল্পভারতে ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডি-কে ঐতিহ্যবাহী এবং নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে, কিছু স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক এফডি-তে সর্বোচ্চ সুদ দিচ্ছে এবং সেই সুদের পরিমাণ বার্ষিক ৮.৫% পর্যন্ত। যেখানে সাধারণত ১-৩ বছরের এফডি-তে ৭.৫-৮% রিটার্ন পাওয়া যায়। যদি ১ লক্ষ টাকার এফডি ৮% বার্ষিক রিটার্নের হিসেবে করা হয়, তাহলে দুই বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ১.১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চলে যেতে পারে (চক্রবৃদ্ধি সুদ-সহ)। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এছাড়াও প্রয়োজনে আংশিক ভাবে টাকা তোলা যায় এবং এটি মেয়াদের আগেই বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব।
advertisement
5/5
কোন বিকল্পটি ভাল?স্বল্পমেয়াদি চাহিদা বা ১-৩ বছরের জন্য বিনিয়োগের কথা ভাবলে FD একেবারে আদর্শ। এটি কেবল নির্দিষ্ট রিটার্নই দেয় না, সেই সঙ্গে লিক্যুইডিটিও বজায় রাখতে সহায়ক। অন্যদিকে সেগুন চাষ থেকে তাৎক্ষণিক লাভ হয় না এবং বিনিয়োগ দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে থাকে। তবে যদি কোনও বিনিয়োগকারীর জমি থাকে কিংবা জমি লিজে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে এবং এর সঙ্গে ২০ বছর অপেক্ষা করারও ক্ষমতা থাকে, তাহলে সেগুন চাষ একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। তবে এতে ঝুঁকিও FD-র তুলনায় অনেক বেশি। তবে সেগুন গাছে বিনিয়োগ করার আগে একজন কৃষি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Tip: FD-তে টাকা না রেখে বরং বিনিয়োগ করুন এই গাছের উপর, হাতে আসবে মুঠো মুঠো টাকা !