Money Making Secrets: বিনিয়োগের সিক্রেট এটাই, ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ২.৫ লাখ টাকা আয়, হিসেব দেখে নিন

যদি বলা হয় যে, মাত্র ১০ লাখ টাকা একবার বিনিয়োগ করলেই প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা আয় করা যেতে পারে, তাহলে প্রথমেই হয়তো কেউ বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু, শেয়ার বাজার এবং চক্রবৃদ্ধির শক্তি এও সম্ভব করে তোলে। এটি একটি অভিনব উপায়, দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য ধরতে পারলেই তা একটি শক্তিশালী আর্থিক ভবিষ্যৎ দিতে সক্ষম।

ধরা যাক কেউ ৩০ বছর বয়সে এককালীন ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। যদি এই বিনিয়োগ গড়ে ১২% বার্ষিক রিটার্ন দেয়, যা একটি ভাল ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড বা স্মার্ট স্টক পোর্টফোলিও থেকে পাওয়া যায়, তাহলে এই পরিমাণ ৩০ বছরে প্রায় ৩ কোটি টাকা (২,৯৯,৫৯,৯২২) হতে পারে।

বিনিয়োগের পরিমাণ: ১০,০০,০০০ টাকাআনুমানিক সুদ/লাভ: ২,৮৯,৫৯,৯২২ টাকামোট তহবিল: ২.৯৯ কোটি টাকা

এখন এই তহবিল থেকে আয় সম্পর্কে কথা বলা যাক। ধরা যাক, ৫৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করা হচ্ছে এবং SWP-এর (সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান) অধীনে এই পরিমাণ টাকা খাটানো হচ্ছে, অর্থাৎ প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে এবং বাকি তহবিল বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যার উপর সুদ আসতে থাকবে।যদি কেউ পরবর্তী ১৫ বছর (অর্থাৎ ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত) প্রতি মাসে ২.৫ লাখ টাকা আয় করতে চায়, তাহলে এই পরিকল্পনাটি এভাবে কাজ করে -

শুরুর পরিমাণ:২.৯৯ কোটিপ্রত্যাহারের সময়কাল: ১৫ বছর / ১৮০ মাসতরল তহবিল: বার্ষিক ৭%মোট উত্তোলন: ৪.৫ কোটিশেষে অবশিষ্ট পরিমাণ: ২৮ লাখমোট অর্জিত সুদ: ১.৮৮ কোটি

আইনস্টাইন চক্রবৃদ্ধির হারকে বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য বলেছিলেন -এই গণনাটি দেখায় যে, তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করা এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য এটি বজায় রাখা কতটা লাভজনক হতে পারে। চক্রবৃদ্ধি সুদকে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য বলেছিলেন এবং এই উদাহরণটি তা প্রমাণও করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিনিয়োগ সঠিক জায়গায় এবং সঠিক উপায়ে করা। ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে, তাদের ইতিহাস, কর্মক্ষমতা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে ভালভাবে ধারণা নেওয়া উচিত। এছাড়াও, সময়ে সময়ে পোর্টফোলিও রিভিউ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যি যে, ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। আজকের ২.৫ লাখ টাকার ভ্যালু আগামী ৩০ বছরে অনেকটাই কম হতে পারে। কিন্তু, তবুও এটি একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন অবসরের ভিত্তি তৈরি করতে পারে।