বাড়ির উঠোনে লাখ টাকার গাছ, দেশ বিদেশে যার ফুলের চাহিদা তুমুল !
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
লাখ টাকার গাছ এখন বাড়ির উঠোনেই চাষ করা সম্ভব। এর ফুলের চাহিদা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বিপুল। এই ফুলচাষ করে সহজেই লাখ টাকার ব্যবসা গড়ে তোলা যায়।
advertisement
1/6

স্বপ্ন তার লাখ টাকার। উপার্জন কিংবা খরচ নয়, তার শখ লাখ টাকার গাছ বাঁচিয়ে তোলা। উঠোন জুড়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গাছ রয়েছে তার কাছে। যা প্রায় সব ক'টি বিদেশি গাছ। সম্পূর্ণ নিজের শখ থেকেই এত সংখ্যক গাছের চারা লাগানো এবং দিনের অধিকাংশ সময় তার পরিচর্যা করেই কাটে। সম্পূর্ণ নিজের শখের বশেই বিদেশি এই ফুলের পরিচর্যা করছেন তিনি। পেশাগতভাবে তিনি শিক্ষা বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও অদ্ভুত নেশা অবাক করেছে সকলকে।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
2/6
ঘরের সামনে উঠোন জুড়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গাছ। যার ফুলের চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও। সম্পূর্ণ শখের বসে করোনার সময় থেকে শুরু, এভাবে একের পর এক গাছের সংগ্রহ করেছেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে পরিচর্যা করে তার বাগানে রয়েছে প্রায় ২৫-৩০ টি প্রজাতির ৬০০ টিরও বেশি গাছ। শুধু নিজের ইচ্ছেতেই এবং ভালোলাগা থেকে তার এই গাছ লাগানো। সকলেই বিভিন্ন ধরনের ফুল কিংবা ইনডোর প্ল্যান্টের চাষ করলেও এই ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেতে এবং ভালোলাগা থেকে শুরু করেছেন অর্কিডের চাষ।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
3/6
নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত গাছ তিনি লোকের মধ্যে বিলিয়ে দেন, শুধু তাই নয় দামি এই ফুলের চাষ করে অন্যদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা। প্রয়োজনে কেউ জানতে চাইলে তাকে শিখিয়ে দিতে পারেন গাছের পরিচর্যা। চেনা ছন্দের বাইরে গিয়ে কিছু করার মানসিকতা নিয়ে নিজের বাড়িতেই এক দুটো দিয়ে শুরু করলেন অর্কিডের গাছ লাগানো। বর্তমানে ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন বিদেশীও জায়গার পাশাপাশি স্বদেশের একাধিক প্রজাতি রয়েছে তার কাছে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ২৫ থেকে ৩০। বাড়ির সামনে উঠোনে ছোট্ট পরিসরে তিনি এই গাছ লাগিয়েছেন।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
4/6
অর্কিডের পাশাপাশি কিছু ফলিয়েজ কিছু অ্যান্থোরিয়াম এর গাছ রয়েছে। মূলত নির্দিষ্ট কিছু গাছ লাগানোর ভাবনা নিয়ে তার অর্কিডের গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।অত্যন্ত সুদৃশ্য এই অর্কিড। বিভিন্ন মিষ্টি রংবেরঙের এই ফুল থাকে বছরের পর বছর। গোটা বাগান প্রায় তিন থেকে চার মাস ভরে থাকে ফুলে। প্রসঙ্গত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নয় শহরকেন্দ্রিক এলাকায় চাহিদা রয়েছে অর্কিডের এমনকি বৈদেশিক রফতানিতেও এর চাহিদা বেশ।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
5/6
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বেসরকারি কলেজ পরিচালক দীপক দাস। নিজের বাড়িতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লাগিয়েছেন অর্কিড। নিজের শখের বশেই তার এই অর্কিডের গাছ লাগানো। গুগল, ইন্টারনেট, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম দেখে তার এই গাছের পরিচর্যা করা। নিজের কাজের পাশাপাশি চলে তার এই অর্কিড এর দেখভাল। এর মধ্যেই খুঁজে পান মানসিক শান্তি।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
6/6
বৈদেশিক ক্ষেত্রে এর বিশেষ বাজার রয়েছে। বাজারে রয়েছে মানুষের চাহিদা। স্বাভাবিকভাবে পেশাগতভাবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে লাগানো যায় অর্কিড। বর্তমানে ব্যবসার কথা না ভাবলেও আগামীতে পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে আগামী যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন অর্কিড চাষ করে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। প্রয়োজনে তিনি প্রশিক্ষণ দিতে চান যুব প্রজন্মকে। স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য কাজের পর দীপক বাবু এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)