৭৫টি দেশকে ছাড় দিলেও চিনের উপরে ১২৫ শতাংশ কর, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রেক্ষিতে মাথা তুলে দাঁড়াল ধুঁকতে থাকা বাজার
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
আমেরিকা সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে চিনের খবরদারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সেই সঙ্গে যে সব দেশ আলোচনায় আসতে চায়, তাদের জন্য সেই পথও প্রশস্ত রাখা হয়েছে। আর এরই জেরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ধুঁকতে থাকা বাজার।
advertisement
1/8

Written By: Jai Thakur: শুরু হয়ে গিয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ। আমেরিকা সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে চিনের খবরদারি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সেই সঙ্গে যে সব দেশ আলোচনায় আসতে চায়, তাদের জন্য সেই পথও প্রশস্ত রাখা হয়েছে। আর এরই জেরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ধুঁকতে থাকা বাজার। (AP Photo/Evan Vucci)
advertisement
2/8
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বড় ঘোষণা করেছেন এবং ৭৫টি দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা করেছেন। তিনি চিনের উপর পারস্পরিক শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে ১২৫ শতাংশে বৃদ্ধি করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে আমেরিকা এখন চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করবে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ট্রাম্প বলেন, চিন বিশ্ববাজারের সঙ্গে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা আর সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, এখন সেই যুগ শেষ যখন চিন আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের সুবিধা নিত। আমেরিকা এখন তার স্বার্থ রক্ষা করবে। (Photo: AP)
advertisement
3/8
এর সঙ্গে সঙ্গেই, ট্রাম্প বলেন যে ৭৫টিরও বেশি দেশ যারা বাণিজ্য, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি এবং অন্যান্য অ-আর্থিক বিষয় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং যারা আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়নি, তাদের ক্ষেত্রে তিনি ৯০ দিনের জন্য 'পারস্পরিক শুল্ক' বন্ধ রেখেছেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত ১০% নতুন শুল্ক ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তটিও তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। ট্রাম্প বলেন যে এটি আমেরিকার একটি ইতিবাচক উদ্যোগ, যাতে আলোচনার পথ খোলা থাকে। (Photo: AP)
advertisement
4/8
চিন এবং আমেরিকার শুল্ক তর্জা: ইতিপূর্বে চিন ঘোষণা করেছিল যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক ৩৪% থেকে বাড়িয়ে ৮৪% করবে। চিনের এই পদক্ষেপের পর, আমেরিকাও পাল্টা জবাবে চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। আমেরিকার মতে, চিন ইতিমধ্যেই তার পণ্যের উপর ৬৭ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করত। যার জবাবে আমেরিকা প্রথমে চিনের উপর ২০ শতাংশ এবং পরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর জবাবে চিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করে। (Photo: AP)
advertisement
5/8
এর পর আমেরিকা ইতিমধ্যে বিদ্যমান ৫৪ শতাংশ শুল্কের উপরে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে প্রতিক্রিয়া জানায়। অর্থাৎ চিনা পণ্যের উপর মোট ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। চিনও চুপ করে থাকেনি এবং অতিরিক্ত শুল্ক ৩৪ শতাংশ থেকে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে। এখন আমেরিকা চতুর্থবারের মতো চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক বৃদ্ধি আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তা ১২৫ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা করেছে। এবার দেখার চিনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে! (Photo: AP)
advertisement
6/8
তবে, চিন যে অসহায় নয়, সেই বিবৃতি মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে এসেছে। মঙ্গলবার চিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেত্রী রীতিমতো লি কিয়াং হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যে, আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চিনের হাতে প্রয়োজনীয় টুলস রয়েছে। চিনা স্টেট নিউজ এজেন্সি শিনহুয়া থেকে জানা গিয়েছে যে, একটি ফোন কলে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের কাছে চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং বলেন যে, “চলতি বছর চিনের ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসিতে একাধিক অনিশ্চয়তার বিষয়গুলি সম্পূর্ণ ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আর তার জন্য চিনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পলিসি টুল সংরক্ষিত রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, লি আরও বলেন যে, প্রতিকূল বাহ্যিক প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ রূপে রক্ষা পেতে পারে চিন। আর টেকসই এবং সুস্থ অর্থনীতি বজায় রাখার ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ ভাবে আত্মবিশ্বাসী।” (Photo: AP)
advertisement
7/8
যাই হোক, চিন এবং আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধ সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ১০০ ডলারেরও বেশি বেড়েছে। বুধবার লেনদেনের সময়, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৩১০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ওই দিন, সোনার দাম ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি আউন্স ৩০৭০ ডলারে লেনদেন হয়েছে। (Photo: AP)
advertisement
8/8
প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে, তাও বেশ ইতিবাচক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭৫টি দেশকে পারস্পরিক শুল্কে ত্রাণ দেওয়ার খবরের পর মার্কিন শেয়ার বাজার প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে । ডাও জোন্স থেকে শুরু করে এসএন্ডপি ৫০০, সর্বত্রই উত্থান দেখা গিয়েছে। বুধবার, Nasdaq ১৬,৭৮৪ পয়েন্টে লেনদেন করেছে, প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে, ডাও জোন্স ৬.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪০,১৯৬ পয়েন্টে এবং S&P ৫০০ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫,৩৮১.২৪ পয়েন্টে লেনদেন করেছে। (Photo: AP)
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
৭৫টি দেশকে ছাড় দিলেও চিনের উপরে ১২৫ শতাংশ কর, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রেক্ষিতে মাথা তুলে দাঁড়াল ধুঁকতে থাকা বাজার