Lakshmir Bhandar Money: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে 'আরও আরও' টাকা...! পাবেন কবে থেকে? কোটি কোটি মহিলার জন্য বড় সুখবর জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার

লোকসভা ভোটের আগেই বাংলার মা-বোনেদের মুখে হাসি ফোটাল রাজ্য সরকার। বেড়ে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতার অঙ্ক। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশের সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্যের এই জনদরদী প্রকল্পের অনুদান বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। এক ধাক্কায় ৫০০টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হল। ফলে ঘরে ঘরে হাসিমুখ বাংলার মহিলাদের।

নতুন বর্ধিত ভাতার ঘোষণায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ১,০০০ টাকা হল। আর তপশিলি জাতি (SC) ও তপশিলি উপজাতি (ST) মহিলাদের ১,০০০ টাকা থেকে ভাতা বেড়ে হল ১,২০০ টাকা। এর ফলে রাজ্যের ২ কোটি ১১ লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন বলেই জানান মন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায়।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা চলছিল আগেও। মাসখানেক আগে এই বিষয়ে জল্পনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খারিজ করেও দেওয়া হয়।

এরপরেই এবারের বাজেটে অতিরিক্ত ১,২০০ কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খাতে বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই বর্ধিত ভাতা পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। অর্থাৎ মে মাস থেকেই বেশি টাকা হাতে পাবেন বাংলার মহিলারা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়েছিল বাংলায়। ক্রমশ এর উপভোক্তার সংখ্যা বেড়েছে। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানও দ্বিগুণ করে দিল রাজ্য সরকার।

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হ’ল পশ্চিমবঙ্গের সেই মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয় এবং যাদের আয়ের কোনও উপায় নেই। এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি বাংলার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা পেয়ে থাকেন।

এদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে বার্ধক্য ভাতাকেও জুড়ে দিয়েছে মমতা সরকার। এখন থেকে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের বয়স ৬০ বছর হলেই তাঁদের নাম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে। এর জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে না।