Post Office Savings Scheme: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে ১০ লাখ টাকা হয়ে যাবে ৩০ লাখ টাকা ? দেখে নিন কীভাবে

পোস্ট অফিসের স্কিমগুলি সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ভাল রিটার্ন দেয়। তাই বেশিরভাগ লোক এখনও পোস্ট অফিস স্কিমে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে। কেউ যদি একটি পোস্ট অফিস স্কিমে বিনিয়োগ করার কথা ভাবে, যা অল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ সুদ এবং সুবিধা প্রদান করে, তাহলে এমনই একটি পোস্ট অফিস স্কিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এই পোস্ট অফিস স্কিমে বিনিয়োগ -পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করে যে কেউ প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারে। কেউ যদি পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে নিজেদের নিকটস্থ পোস্ট অফিসে গিয়ে এটির জন্য একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে পারে। এই স্কিমে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। পোস্ট অফিস টিডি-তে বিনিয়োগ শুধুমাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে এবং সর্বোচ্চ যত খুশি বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ -৫ বছরের পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করে। কেউ যদি ১০ বছরের জন্য এটিতে ৫,০০,০০০ টাকা জমা করে, তাহলে সুদ হিসাবে ৫,৫১,১৭৫ টাকা পাবে এবং ম্যাচিউরিটির পরিমাণ হবে ১০,৫১,১৭৫ টাকা। এছাড়াও, কেউ যদি ৭.৫ শতাংশ সুদের হারে ৪ লাখ টাকা জমা করে, তাহলে ১০ বছরে ৪,৪০,৯৪০ টাকা সুদ পাবে এবং ম্যাচিউরিটিতে ৮,৪০,৯৪০ টাকা পাবে। যদি এই স্কিমে কেউ ১০ বছরের জন্য ১,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে, তাহলে ১,১০,২৩৫ টাকা সুদ পাবে। এইভাবে ম্যাচিউরিটির সময়ে ২,১০,২৩৫ টাকা পাওয়া যাবে।

এই স্কিমে পোস্ট অফিসে ৫ বছরের FD বেছে নিতে হবে এবং এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে। এটি ম্যাচিওর হওয়ার আগে এটি বাড়ানো উচিত। এটি পর পর দুবার এই এক্সটেনশন করতে হবে, অর্থাৎ ১৫ বছরের জন্য এই FD চালাতে হবে। কেউ যদি এই FD-তে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে, তাহলে ৫ বছরে ৭.৫ শতাংশ সুদ পাবে, অর্থাৎ, নিজেদের বিনিয়োগ করা পরিমাণের উপর ৪,৪৯,৯৪৮ টাকা সুদ পাবে এবং মোট ১৪,৪৯,৯৪৮ টাকা পাবে।

পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে এই সুবিধা পাওয়া যাবে -কেউ যদি পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিমে ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে, তাহলে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড়ও পাওয়া যাবে। তবে কেউ যদি এই পোস্ট অফিস স্কিমে বিনিয়োগ করে, তবে ৬ মাসের আগে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রত্যাহার করা যাবে না। কিন্তু, বিনিয়োগকারী যদি চায়, ম্যাচিউরিটির তারিখ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং কেউ যদি চায় বিনিয়োগ এক বছর বাড়ুক, তাহলে ম্যাচিউরিটির তারিখের ৬ মাস আগে এটি করতে হবে। তার মানে, যদি দুই বছরের জন্য কেউ বিনিয়োগ বাড়াতে চায়, তাহলে ম্যাচিউরিটির ১ বছর আগে এটি করা উচিত।