Keeping Gold At Home: বাড়িতে সোনা থাকলে এখনই এই কাজ করুন, না হলে দরকারের সময়ে একটা পয়সাও পাবেন না
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Keeping Gold At Home: আপনার বাড়িতে যদি সোনা থাকে, তাহলে এখনই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেলতে হবে। নইলে প্রয়োজনে সোনা থেকেও কোনও অর্থ তুলতে পারবেন না। কী করতে হবে আর কীভাবে সোনা কাজে লাগবে, জেনে নিন।
advertisement
1/8

সোনা বিক্রি করা ঠিক লক্ষ্মীহারা হওয়ার মতো মনে হতে পারে। কিন্তু, সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, সোনা অন্যান্য সম্পদের মতোই একটি সম্পদ এবং এটিকে শেয়ারের মতোই মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। আজকের যুগে সোনা নিজেদের ব্যাকআপ প্ল্যান, গ্রোথ ফান্ড এবং নিরাপত্তার রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পারে।
advertisement
2/8
ভারতে, সোনা কেবল মূল্যবান বস্তুই নয়, এটি আমাদের পরিচয়েরও একটি অংশ। এটি সেই মূল্যবান উপহার যা বড়রা বিয়েতে আশীর্বাদ হিসেবে দেন। বাবা-মায়েরা গোপনে তা নিরাপদ স্থানে রাখেন এবং প্রয়োজনের সময় এই সোনা প্রতিটি পরিবারের জন্য ভরসা হয়ে ওঠে। সুতরাং, সোনা কেবল একটি ধাতু নয়, বরং স্মৃতি, ঐতিহ্য এবং আবেগের প্রতীক। কিন্তু, এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, সোনা বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগের বিকল্প। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের পোর্টফোলিওর ভারসাম্য বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, প্রশ্নও ওঠে যে সোনা ঘরে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক?
advertisement
3/8
ভারতীয় পরিবারগুলির কাছে ২৫,০০০ টন সোনা আছে -গহনার আকারে হোক বা ডিজিটাল আকারে, সোনার প্রতি ভারতীয়দের ভালবাসা কেবল আবেগগতভাবেই নয়, আর্থিকভাবেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (WGC) এর তথ্য অনুসারে ভারতীয় পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানগুলিতে একসঙ্গে প্রায় ২৫,০০০ টন ভৌত সোনা মজুত রয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য ২.৫ লাখ কোটি টাকা, যেখানে ডিজিটাল সোনার আনুমানিক মূল্য ৪,০০০ কোটি টাকা। এর অর্থ হল, বিশ্বের কিছু প্রধান দেশের সরকারি সোনার মজুতের চেয়ে ভারতের ঘরে বেশি সোনা রয়েছে।
advertisement
4/8
বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে সোনা কেন গুরুত্বপূর্ণ -সোনা স্থিতিশীলতার প্রতীক। যখন সব কিছু তলানিতে যায়, সোনার দর অটল থাকে। এটি বাজারের অস্থিরতা, মহামারী, যুদ্ধ বা মুদ্রাস্ফীতির সময় আর্থিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। আর্থিক উপদেষ্টারা সাধারণত মোট পোর্টফোলিওর ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ সোনায় বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। তবে, এই শেয়ার নিজেদের আর্থিক লক্ষ্য, ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা, বিনিয়োগের সময়কাল এবং সামগ্রিক সম্পদের মিশ্রণের উপর নির্ভর করে। ১৫-২৫ শতাংশের এই বিনিয়োগ পরিসর নিজের পোর্টফোলিওতে সোনার স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষার সঙ্গে ইক্যুইটি এবং অন্যান্য সম্পদের বৃদ্ধির সম্ভাবনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
5/8
যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে বিক্রি করা কতটা ঠিক -২০১৫ সালে প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম ছিল প্রায় ২৬,৩৪৩ টাকা এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে এটি প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ১,০০,০০০ টাকায় পৌঁছায়। এইভাবে ১০ বছরে সোনা প্রায় ২৮০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। বাজারের অন্যান্য বিনিয়োগ বিকল্পের তুলনায় এটির পারফরম্যান্স অনেক ভাল। বিশ্ব জুড়ে চলমান অস্থিরতার কারণে আগামী বছরে সোনার দাম আরও ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই দ্রুত বৃদ্ধির মধ্যে মানুষের মনে সোনা বিক্রি করার চিন্তা আসেই। তবে, সোনা বিক্রি করা নিজেদের আর্থিক চাহিদার উপর নির্ভর করে। এদিকে, সঠিক দাম পেতে হলে, সোনার গয়নার হলমার্কিং করতে হবে।
advertisement
6/8
যখন শেয়ারের দাম বাড়ে তখন বিক্রি করা হয়, তাহলে সোনা কেন নয় -সোনা কেবল একটি ধাতু নয়, এটি আবেগের এক ভাণ্ডার। সোনার চেন হয়তো মায়ের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। নিজেদের সিন্দুকের মধ্যে রাখা সোনার মুদ্রা সন্তানের জন্মের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে। এই কারণেই সোনা বিক্রি করা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে যে সোনাও একটি সম্পদ এবং স্টকের মতোই এর মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কেউ যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন, তাহলে দাম বাড়লে শেয়ার বিক্রি করবেন। কিন্তু, কেউ সোনা বিক্রি করতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে গোল্ড লোন নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে কারও কাছে যদি ডিজিটাল সোনা থাকে, তাহলে গোল্ড এফডি স্কিমে বিনিয়োগ করে বার্ষিক ২.৫ শতাংশ সুদ অর্জন করা যেতে পারবে।
advertisement
7/8
ডিজিটাল যুগে সোনায় বিনিয়োগের অনেক বিকল্প রয়েছে -সোনা কিনতে আমরা সাধারণত একজন স্বর্ণকারের কাছে যাই। কিন্তু, সোনার গয়নার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু চার্জ রয়েছে, তাই বিনিয়োগের জন্য গয়না কেনা ঠিক নয়। আজকের ডিজিটাল যুগে সোনায় বিনিয়োগের জন্য আমাদের কাছে কিছু বিশেষ বিকল্পও রয়েছে। কেউ ডিজিটাল সোনা কিনতে পারেন। ১০০ টাকার মতো কম পরিমাণ টাকাতেও সোনা ক্রয় করা যেতে পারে। এই ডিজিটাল সোনা একটি বিশ্বস্ত ভল্টে নিরাপদে রাখা হয়। গোল্ড ইটিএফ এবং মিউচুয়াল ফান্ডও সোনায় বিনিয়োগের একটি মাধ্যম।
advertisement
8/8
সোনার গয়না বিক্রি করার সময় এই বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত -হলমার্কিং: এটি সোনার বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে। যদি বাড়িতে পুরনো সোনা থাকে, তাহলে তাতে হলমার্ক করে নিতে হবে, যাতে সঠিক দাম পাওয়া যেতে পারে।পেমেন্ট: জুয়েলাররা প্রায়শই নগদের পরিবর্তে চেক বা ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ করেন। পেমেন্টের জন্য KYC জমা দিতে হতে পারে।ছাড়: সোনার গয়নার দামের মধ্যে মেকিং চার্জ এবং পাথরের দাম অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাই প্রকৃত দামের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Keeping Gold At Home: বাড়িতে সোনা থাকলে এখনই এই কাজ করুন, না হলে দরকারের সময়ে একটা পয়সাও পাবেন না