Loan Scheme For Pensioners: ৬০ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর কি আদৌ লোন পাওয়া যায়? বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই বিষয়ে

অনেকেই মনে করেন যে, বয়স বেশি হলে আপনি ঋণ পাওয়া যাবে না, কিংবা চাকরি থেকে অবসর নিলে আর ঋণ পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ অবসর গ্রহণের পরেও প্রবীণ নাগরিকদের ঋণের সুবিধা প্রদান করে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এমনই একটি স্কিম হল Personal Loan Scheme For Pensioners। যাঁরা পেনশনভোগী, তাঁরা এই স্কিমের অধীনে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেয়ে যেতে পারেন। এই স্কিমের সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক।

৭০ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার সুবিধা:পিএনবি-র এই লোন স্কিমে ঋণের পরিমাণ প্রবীণ নাগরিকের পেনশনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। যদি কারও বয়স ৭০ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে এই প্রকল্পের অধীনে তিনি সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা অথবা পেনশনের ১৮ গুণ ঋণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। তবে ডিফেন্সের পেনশনভোগীরা নিজেদের পেনশনের ২০ গুণ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোন হিসেবে নিতে পারেন। ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অবশ্য নিয়ম আলাদা।

৭০ বছরের উর্ধ্বে থাকা পেনশনভোগীদের জন্য রয়েছে এই সমস্ত নিয়ম:যদি পেনশনভোগীর বয়স ৭০ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে হয়, তাহলে তিনি ঋণ হিসেবে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বা পেনশনের পরিমাণের ১৮ গুণ বেশি পেতে পারেন। ডিফেন্সের পেনশনভোগীরা ঋণ হিসেবে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বা পেনশনের পরিমাণের ২০ গুণ বেশি পেতে পারেন। যদি ঋণগ্রহীতার বয়স ৭৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বা ১২ মাসের পেনশনের সমপরিমাণ অর্থ পেতে পারেন।

কত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করা আবশ্যক?পিএনবি-র ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঋণ নেওয়ার পর পেনশনভোগীদের সর্বোচ্চ ৬০টি কিস্তিতে অর্থাৎ ৫ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। যেখানে ৭৫ বছরের বেশি বয়সী ঋণগ্রহীতাদের সর্বোচ্চ ২৪টি কিস্তিতে অর্থাৎ দুই বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ডকুমেন্টেশন চার্জ হিসেবে ৫০০ টাকা + জিএসটি নেওয়া হয়।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম:পিএনবি-র এই লোন স্কিমের অধীনে ঋণ নেওয়ার সময় স্বামী/স্ত্রীকে একটি গ্যারান্টি দিতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, যদি একজন মহিলা ঋণ নেন, তাহলে সেক্ষেত্রে তাঁর স্বামী এবং যদি একজন পুরুষ ঋণ নেন, তাহলে সেক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রীকে নিরাপত্তা হিসেবে একটি গ্যারান্টি দিতে হবে। এছাড়া যদি তাঁদের সন্তানরা উপার্জনক্ষম হন, তাহলে তাঁদের বা তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টিও দেওয়া যেতে পারে।