Budget 2023: গয়নার দাম কি কমতে চলেছে এই বছরের বাজেটে?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
Last Updated:
আসন্ন বাজেটে সরকারের তরফে বিশেষ ‘ডায়মন্ড প্যাকেজ’ আনার দাবিও জানিয়েছে রত্ন ও গয়না রফতানিকারকরা।
advertisement
1/5

১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগে সরকারের কাছে ল্যাবে উৎপাদিত হিরে এবং গয়না তৈরির কাঁচামালের উপর আমদানি শুল্ক বিলোপের আবেদন জানালেন রত্ন ও গয়না রফতানিকারকরা। তাঁদের আরও দাবি, আগামী বাজেটে এই খাতে প্রচার ও শিপমেন্ট বাড়ানোর দিকেও নজর দিক সরকার। এখানেই শেষ নয়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বর্তমান আইন পরিবর্তন করে হিরে কেনাবেচার উপর প্রিজাম্পটিভ ট্যাক্স ও প্রস্তাবিত ডিইএসএইচ বিল প্রবর্তনের আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
2/5
আসন্ন বাজেটে সরকারের তরফে বিশেষ ‘ডায়মন্ড প্যাকেজ’ আনার দাবিও জানিয়েছে রত্ন ও গয়না রফতানিকারকরা। তাঁদের দাবি, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। পাশাপাশি চিন বারবার লকডাউনের কবলে পড়ায় সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এই দুইয়ের প্রভাব পড়েছে সুরাতের হিরে শিল্পে। হিরে রফতানি এবং চাকরির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
advertisement
3/5
সারা বিশ্বেই হিরে উত্তোলনের ব্যয় বেড়েছে। ফলে ল্যাব উৎপাদিত হিরে হয়ে উঠেছে লাভজনক বিকল্প। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ল্যাবেই তৈরি করা হয়। কিন্তু এদের শারীরিক ও রাসায়নিক গঠন এবং অপটিক্যাল গুণাবলী প্রাকৃতিক হিরের মতোই। এক ধরনের বিশেষ বীজ ব্যবহার করে ল্যাবে হিরে তৈরি হয়, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী রত্ন এবং গয়না রফতানিতে ল্যাব উৎপাদিত হিরের ভাগ হবে ১০ শতাংশ। এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আমদানির উপর নির্ভরতাও উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে যা বৈদেশিক মুদ্রার রেমিটেন্স হ্রাস করতে সাহায্য করবে’।
advertisement
4/5
কামা জুয়েলারির প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কলিন শাহ বলছেন, ‘বীজের উপর শুল্ক ছাড় দিলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রেও প্রচুর চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে’। প্রসঙ্গত, কলিন শাহ রত্ন ও গয়না রফতানি উন্নয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। গয়না মেরামত নীতি সম্পর্কে তিনি বলছেন, ‘এই ব্যাপারে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী আরব আমিরাত, হংকং এবং তুরস্ক। কারণ তাদের গয়না মেরামত, আমদানি এবং বিদেশে পাঠানোর পলিসি অত্যন্ত সহজ’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘নিঃসন্দেহে ভারতের রত্ন ও গয়না মেরামতের রাজধানী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বড় রফতানিকারকরা বিদেশে রফতানি করা গয়না আমদানি এবং পুনরায় রফতানির জন্য ভারতে পরিষেবা কেন্দ্র খুলতে পারে। এর ফলে চাকরি, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ভারত থেকে রফতানি বৃদ্ধি পাবে’।
advertisement
5/5
ডায়মণ্ড প্যাকেজের আবেদন জানিয়ে সুরাতের ইন্ডিয়ান ডায়মন্ড ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান দীনেশ নাভাদিয়া বলেন, ‘আগামী বাজেটে রত্ন ও গয়না শিল্পের জন্য সরকারকে একাধিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রফতানি বাড়ানোর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে’। কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রত্ন ও গয়না রফতানি হয়েছে। তার আগের বছর ওই মাসে রফতানির পরিমাণ ছিল ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।