Investments and Returns: ঝুঁকি নেই একচুলও, মিলবে সর্বোচ্চ রিটার্ন, এই ৯ বিনিয়োগ সম্পর্কে এখুনি জেনে নিন

ছোটখাটো বিনিয়োগ হোক কিংবা বড়সড়, ঝুঁকি থাকেই। এই ঝুঁকির মধ্যে বেশিরভাগই বাজারের ওঠানামার সঙ্গে যুক্ত, যা অনুমান করা কঠিন। তাহলে কি নিরাপদ বিনিয়োগ বলে কিছু হয় না? অবশ্যই হয়। বেশ কিছু বিনিয়োগ বিকল্প রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করা টাকা নিরাপদে থাকে, রিটার্নও ভাল দেয়। কী সেগুলো? দেওয়া হল তালিকা।

ইউনিট লিঙ্কড ইনস্যুরেন্স প্ল্যান: এটা একই সঙ্গে বিমা এবং বিনিয়োগ পণ্য। অর্থাৎ বিনিয়োগের মাধ্যমে উচ্চ রিটার্ন পাওয়া যায় পাশাপাশি মেলে বিমা কভারও।

শুধু তাই নয়, বিনিয়োগকারী তাঁর আর্থিক লক্ষ্য অনুযায়ী তহবিল স্যুইচ করতেও পারেন। ৩ থেকে ৫ বছরের লক ইন পিরিয়ড থাকে। উচ্চ রিটার্ন সহ নিরাপদ বিনিয়োগের জন্যে ইউলিপ আদর্শ বিকল্প।

ন্যাশনাল পেনশন স্কিম: এনপিএস কেন্দ্র-সমর্থিত এবং কম ঝুঁকিতে উচ্চ রিটার্ন পাওয়া যায় এমন বিনিয়োগগুলির মধ্যে একটি। কর্মজীবনে অর্থ প্রদান করতে হয়। অবসর জীবনে নিশ্চিন্তি।

এনপিএস-এ দুধরনের অ্যাকাউন্ট হয়, টায়ার ১ এবং টায়ার ২। টায়ার ১ অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং টায়ার ২ অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা জমা করতে হয়।

ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট: উচ্চ রিটার্ন সহ নিরাপদ বিনিয়োগের আরেকটি মাধ্যম ফিক্সড ডিপোজিট। নির্দিষ্ট মেয়াদে পূর্বনির্ধারিত সুদের হারে টাকা জমা করতে হয়। পুরো মেয়াদে টাকা লক ইন পিরিয়ড থাকে। তবে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এফডি-র সুদের হার ভিন্ন।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড: পিপিএফ হল দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রিটার্ন এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ বিকল্প। এই প্রকল্প অবসর জীবনের জন্য সঞ্চয়ে সাহায্য করে। পিপিএফ-এর মেয়াদ ১৫ বছর।

এক আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করা যায়। বর্তমানে পিপিএফ-এ সুদের হার ৭.১ শতাংশ। এখানে বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যায়।

ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম: ইএলএসএস হল ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড। বিনিয়োগকারীর মূলধনের বড় অংশ ইক্যুইটি উপকরণগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়। এছাড়া করছাড়ের সুবিধাও মেলে। ইএলএসএস-এ সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায়।

সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। ইএলএসএস বিনিয়োগকারীকে বৃদ্ধি, লভ্যাংশ এবং লভ্যাংশ পুনঃবিনিয়োগের বিকল্প সহ একাধিক সুবিধা প্রদান করে।

ক্যাপিটাল গ্যারান্টি প্ল্যান: ক্যাপিটাল গ্যারান্টি প্ল্যান বিনিয়োগকারীর মূল পরিমাণকে মন্দার সময় যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বিনিয়োগের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মূলধন সুরক্ষার জন্য ঋণে এবং বাকি টাকা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। এর মেয়াদ ১০ বছর।

সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম: এটি সরকার সমর্থিত সঞ্চয় প্রকল্প। মূলত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অবসর গ্রহণের পর প্রবীণ নাগরিকদের নিয়মিত আয় প্রদান করাই এর উদ্দেশ্য। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। তবে আরও ৩ বছর বাড়ানো যায়।

পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম: পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিমে বিনিয়োগকারীরা ৯ লক্ষ টাকা জমা করতে পারেন। যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ। এর পর প্রতি মাসে জমা করা টাকার সুদ থেকে আয় হয়। বর্তমানে এই স্কিমে ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে।

লং টার্ম গভর্নমেন্ট বন্ড: দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি উভয় মেয়াদের জন্য জারি করা হয়। সরকারি বন্ডের সর্বনিম্ন মেয়াদকাল ৯১ দিন। সর্বোচ্চ ৪০ বছর। সুদের হার ম্যাচিউরিটির সময়ের উপর নির্ভর করে। ম্যাচিউরিটি যত বেশি হবে সুদের হারও তত বাড়বে।