Retirement Planning: এই বিনিয়োগগুলো সম্পর্কে কেউ আপনাকে বলবে না, অবসরের পরে এই ৬ ধাপ দেবে অঢেল টাকা !

যদি কেউ শেয়ার বাজারের ওঠানামা থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন, নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছেন এবং অবসর গ্রহণের পরেও একটি দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন চান, তাহলে জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা (NPS) এবং সরকার-সমর্থিত পেনশন প্রকল্পগুলি সেরা বিকল্প হতে পারে। অবসর গ্রহণের পরে জীবনে সকলেই আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে চান, তাই এর জন্য সময়োপযোগী পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

মুদ্রাস্ফীতি এবং চিকিৎসা ব্যয়ের এই যুগে কেবল পেনশন বা পারিবারিক সহায়তার উপর নির্ভর করে জীবনযাপন করা কঠিন হতে পারে। তাই, এমন পরিস্থিতিতে, একটি নিরাপদ বিনিয়োগ পরিকল্পনা বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, যা বার্ধক্যকে আরও সহজ করবে। তাই জেনে নেওয়া যাক এমন ৬ ধাপ সম্পর্কে, যা অবসরে আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে পারে।

১) জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা এবং অটল পেনশন যোজনা -যে কেউ সরকারি প্রকল্পের উপর আস্থা রাখতে পারেন। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা (NPS) এবং অটল পেনশন যোজনার (APY) মতো সরকারি প্রকল্পগুলি কেবল একটি নিরাপদ বিকল্প হতে পারে না, বরং তারা কর ছাড়ের সুবিধাও প্রদান করে। NPS-এ বিনিয়োগ করে, অবসর গ্রহণের পর এককালীন ৬০% টাকা তুলতে পারা যেতে পারে এবং বাকি ৪০% নিয়মিত পেনশন প্রদান করবে। অটল পেনশনে ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলে প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট পেনশন পাওয়া যাবে।

২) মিউচুয়াল ফান্ড -বিনিয়োগকারীদের অবসর গ্রহণের জন্য ঋণ-ভিত্তিক পেনশন তহবিল বেছে নেওয়া উচিত। বাজারে এমন মিউচুয়াল ফান্ডও রয়েছে যারা মূলত সরকারি বন্ড এবং স্থির আয়ের উপকরণে বিনিয়োগ করে। এগুলি ইক্যুইটি ফান্ডের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন চাওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য ভাল।

৩) ঝুঁকিপূর্ণ ফান্ড -যিনি যত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করবেন, তত বেশি সুবিধা পাবেন। তবে, কেউ যদি কম ঝুঁকিপূর্ণ ফান্ডে তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে  চক্রবৃদ্ধির আরও সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। SIP-র মাধ্যমে নিয়মিত বিনিয়োগ আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা যেতে পারে এবং অবসর তহবিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত করা যেতে পারে।

৪) পিপিএফ এর মতো বিকল্প -যদি কেউ ভবিষ্যতের জন্য তহবিল প্রস্তুত করেন, তাহলে সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, এক জায়গায় বিনিয়োগ করার পরিবর্তে, অবসরকালীন তহবিলগুলিকে এনপিএস, পিপিএফ এবং অন্যান্য কম ঝুঁকিপূর্ণ স্কিমে ভাগ করা উচিত। যদি কেউ এটি করেন, তবে তা কেবল ঝুঁকি কমাবে না বরং ভাল রিটার্নও দিতে পারে।

৫) রি-ব্যালেন্সিং -যদিও কেউ অবসরের জন্য একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প বেছে নিয়ে থাকেন, তবুও বছরে একবার সেই বিনিয়োগ পর্যালোচনা করা উচিত। রিব্যালেন্সিং বয়স, চাহিদা এবং ঝুঁকি অনুসারে বিনিয়োগ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৬) একজন আর্থিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ -যদি কেউ অবসরের জন্য কোথায় বিনিয়োগ করবেন বা কত টাকা দিয়ে শুরু করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হন, তাহলে একজন আর্থিক পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তিনি আয় এবং লক্ষ্য অনুসারে সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে দিতে পারবেন।