Money Making Tips: পোস্ট অফিস দিচ্ছে বাড়তি আয়ের সুযোগ, বেতনের পাশাপাশি প্রতি মাসে মিলবে মোটা টাকা !

বর্তমানে বাজারের মূল্যবৃদ্ধি যা অবস্থা তাতে কেবল চাকরি করে সংসার চালানো বেশ কঠিন ৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্যালারি ক্রেডিট হওয়ার পর রেশন, বাচ্চার ফি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ইত্যাদির বিল দিতে দিতে ৩ থেকে ৪ দিনের হাত প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় ৷

স্বাভাবিক ভাবেই চাকুরিজীবীরা চাকরির পাশাপাশি এখন বাড়তি আয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ এর জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে থাকেন ৷ এরকম একটি স্কিম রয়েছে পোস্ট অফিসের যেখানে প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে চলে আসবে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ৷

পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্কিম। এই স্কিমে গ্রাহক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং তার উপর প্রতি মাসে সুদ পান।

সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ জমার সীমা ৯ লক্ষ টাকা । অন্যদিকে, জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ লক্ষ টাকা।

টাকা রাখার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পোস্ট অফিসের উপর অনেকটাই ভরসা করে থাকেন দেশের মধ্যবিত্ত ৷ এর একটা কারণ হচ্ছে টাকা সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি পাওয়া যায় গ্যারেন্টিড রিটার্ন ৷ পোস্ট অফিসের একাধিক স্মল সেভিংস স্কিম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী টাকা রাখতে পারেন ৷ মান্থলি ইনকাম স্কিম তার মধ্যেই একটি ৷

পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। মূলধন সুরক্ষাই এই স্কিমের প্রধান উদ্দেশ্য। বর্তমানে সুদের হার ৭.৪০ শতাংশ ৷ অর্থাৎ যদি কেউ পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমে ৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ৭.৪০ শতাংশ সুদের হারে তিনি প্রতি মাসে ৫,৫৫০ টাকা পাবেন।

মেয়াদ শেষ হলে তিনি তাঁর আমানত অর্থাৎ ৯ লক্ষ টাকা তুলে নিতে পারেন অথবা ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারেন্স পরিষেবার মাধ্যমে সেভিংস অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারেন। আবার চাইলে এই স্কিমে পুনরায় বিনিয়োগ করা যায়।

পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমের বৈশিষ্ট এবং সুবিধা: মূলধন সুরক্ষা – বিনিয়োগ করা অর্থ মেয়াদের সময়কাল পর্যন্ত সুরক্ষিত। কারণ এটি সরকার সমর্থিত স্কিম।

মেয়াদ – পোস্ট অফিস এমআইএস-এর লক ইন পিরিয়ড ৫ বছর। মেয়াদ শেষ হলে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে নিতে পারেন কিংবা পুনরায় বিনিয়োগ করতে পারেন।

কম ঝুঁকি – এই ফিক্সড ইনকাম স্কিমের সঙ্গে বাজারের কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে বিনিয়োগ করা অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ।