লটারিতে জিতলেন ২৪০ কোটি টাকা! ছোট্ট এক 'ট্রিক' খাটিয়েছিলেন এই যুবক, জানলে আপনিও মালামাল হবেন!

একে বলে কপাল? নাকি, কাজে লাগালেন বিশেষ বুদ্ধি? সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে লটারি জিতে রাতারাতি ভাগ্য বদলে গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের যুবক অনিলকুমার বল্লা মাধবরাও বল্লার। কী ভাবে? বুঝে নিন 'ট্রিক'।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে বেছে নিয়েছিলেন সেই লটারি টিকিট, যা তাঁকে এনে দিল প্রায় ২৪০ কোটি টাকার পুরস্কার।

মাত্র দেড় বছর হল অনিলকুমার আমিরশাহিতে আছেন। সেখানেই তিনি কিনেছিলেন লটারির টিকিট। তার পরেই সব বদলে গেল।

অনিল জানান, তিনি একবারেই ১২টি টিকিট কিনেছিলেন। সেই টিকিটগুলির মধ্যেই লুকিয়ে ছিল তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানো নম্বর।

জেতার খবর পেয়ে প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি। স্মৃতি রোমন্থন করে অনিল বলেন, “আমি তখন সোফায় বসেছিলাম। হঠাৎ ফোনে দেখি, আমি জিতে গেছি। মুহূর্তে মাথা ঘুরে গেল, কিছু বুঝতে পারছিলাম না। শুধু মনে হচ্ছিল— হ্যাঁ, এটাই সত্যি!”

কিন্তু কী ভাবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সেই 'লাকি' টিকিট? শুনলে আশ্চর্য হবেন। কিন্তু গল্প নয়, সত্যি!

অনিলকুমারের কথায়, তিনি “Easy Pick” অপশন ব্যবহার করেছিলেন— অর্থাৎ সিস্টেম নিজে থেকেই কিছু নম্বর বেছে দেয়। কিন্তু একটি নম্বর তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেই বেছে নিয়েছিলেন। কী সেই নম্বর? জানলে আপনিও চেষ্টা করতে পারবেন।

একটি সাধারণ Easy Pick টিকিট, একটি ১১ নম্বর আর মায়ের প্রতি একটিমাত্র ভালোবাসার ইঙ্গিত— এই তিন মিলেই তৈরি হল এক অবিশ্বাস্য বাস্তব গল্প, যেখানে অনিলকুমার বল্লা এক রাতেই হয়ে গেলেন ২৪০ কোটির ভাগ্যবান বিজেতা।

তিনি বলেন, “শেষ সংখ্যাটা আমি নিজের হাতে বেছে নিয়েছি। সেটি আমার মায়ের জন্মমাস— ১১ নম্বর। আমি কোনও জাদু করিনি, স্রেফ সহজভাবে এই নম্বরগুলো বেছে নিয়েছিলাম।”

এই বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার পর এখন অনিলের ভাবনা একটাই— কী ভাবে টাকাটা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। তিনি বলেন, “আমি ভাবছি কীভাবে এই টাকা বিনিয়োগ করব। টাকাটা যেন সঠিকভাবে কাজে লাগে, সেটাই এখন লক্ষ্য। আমি এখন সত্যিই অনুভব করছি, আমার হাতে অর্থ আছে। কিন্তু এই অর্থের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বও বেড়েছে। আমি চাই সঠিক চিন্তাভাবনা নিয়ে বড় কিছু করতে।”

নিজের ব্যক্তিগত স্বপ্ন নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। অনিল জানান, তিনি একটি সুপারকার কিনতে চান, একটি লাক্সারি রিসর্টে উদ্‌যাপন করতে চান, এবং সবচেয়ে বড় ইচ্ছে— নিজের পরিবারকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এনে তাঁদের সঙ্গে থেকে জীবন উপভোগ করা। তাঁর কথায়, “আমার মা-বাবার স্বপ্ন খুব ছোট। আমি চাই তাঁদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে। তাঁদের দেখভাল করতে চাই সারাজীবন।”

অনিল জানিয়েছেন, তিনি জেতা অর্থের একটি অংশ দরিদ্র ও প্রয়োজনীয় মানুষের সাহায্যে দান করবেন। তাঁর বিশ্বাস, “এই দান সত্যিই যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছেই পৌঁছে যাবে।”

অন্য লটারি খেলোয়াড়দের উদ্দেশে অনিল বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি, সবকিছুই কোনও না কোনও কারণে ঘটে। তাই বলব— হাল ছাড়বেন না, খেলা চালিয়ে যান। একদিন না একদিন ভাগ্য আপনাকেও খুঁজে নেবে।”

শেষে তিনি The UAE Lottery-র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি সত্যিই ধন্যবাদ জানাতে চাই The UAE Lottery-কে। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আমি চাই এমন সুযোগ আরও বহু বছর ধরে মানুষ পেয়ে যাক।”