TRENDING:

India-Turkey: কাশ্মীর থেকে দিল্লি, টানেল থেকে মেট্রো, বিলিয়ন ডলারের তুর্কি ডিল নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত?

Last Updated:
India To Re-Assess Billion-Dollar Turkish Deals: নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ‘‘তুর্কি সংস্থাগুলির সঙ্গে জড়িত সমস্ত প্রকল্প তদন্তাধীন রয়েছে, সরকার সমস্ত সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে, যার মধ্যে যেগুলো শেষ হয়ে গিয়েছে, সেগুলোও রয়েছে।’
advertisement
1/6
কাশ্মীর থেকে দিল্লি, টানেল থেকে মেট্রো, বিলিয়ন ডলারের তুর্কি ডিল নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত ?
Report- Madhuparna Das: ইতিমধ্যেই ডাক উঠেছে তুরস্ক বয়কটের। পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি কোনও ভারতীয়রই মেনে নেওয়ার কথা নয়। সরকারি তরফেও এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত মত বদলালে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়বে তুরস্ক। কেন না, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নীতিতে দুই দেশের মধ্যে যে সব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার ভিত্তিতে অটোমোবাইল থেকে আইটি, মেট্রো রেল থেকে টানেল নিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি রাজ্য, যথা, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লি জুড়ে তুর্কি সংস্থার বাণিজ্য FY24-তে ১০.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। (Image PTI File)
advertisement
2/6
‘‘ভারতে FDI ইক্যুইটি প্রবাহের ক্ষেত্রে তুরস্ক ৪৫তম স্থানে রয়েছে, এপ্রিল ২০০০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ২৪০.১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এফডিআই এসেছে’’, ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশনের (IBEF) ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর একটি প্রতিবেদন এই তথ্য দিচ্ছে। এই বিনিয়োগগুলি নির্মাণ, উৎপাদন, বিমান চলাচল এবং মেট্রোরেল অবকাঠামোর মতো কৌশলগত ক্ষেত্রেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়, তা শিক্ষা ও গণমাধ্যমের মতো ক্ষেত্রগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করে। ইতিমধ্যে, গত দশকে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে - যার মধ্যে রয়েছে পোস্ত বীজের বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, গণমাধ্যম এমনকী, কূটনীতিতে সহযোগিতা। কিন্তু এখন অপারেশন সিঁদুরের পরে একটি নীরব পরিবর্তন চলছে। মোদি সরকার এখন ভারতে তুর্কি ব্যবসায়িক চুক্তি এবং প্রকল্পগুলি পুনর্মূল্যায়ন তথা যাচাই-বাছাই করার জন্য এবং কিছু ক্ষেত্রে বাতিল করার জন্যও পদ্ধতিগতভাবে কাজ করছে। (Photo: AP)
advertisement
3/6
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ‘‘তুর্কি সংস্থাগুলির সঙ্গে জড়িত সমস্ত প্রকল্প তদন্তাধীন রয়েছে, সরকার সমস্ত সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে, যার মধ্যে যেগুলো শেষ হয়ে গিয়েছে, সেগুলোও রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন যে সরকার বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এবং দলিল সংগ্রহ, সংকলনের উপর মনোনিবেশ করছে। ২০২০ সালে, একটি তুর্কি কোম্পানিকে জম্মু ও কাশ্মীরের অটল টানেলের জন্য ইলেকট্রোমেকানিক্যাল অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং ২০২৪ সালে, আরভিএনএল মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য আরেকটি তুর্কি কোম্পানির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। (Photo: AP)
advertisement
4/6
ভারতের সঙ্গে 'জোটবদ্ধ' নই: তুরস্ক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের বাণিজ্য, নির্মাণ এবং প্রযুক্তিগত অংশীদার, তবে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে কূটনৈতিক স্পষ্টতার সঙ্গে তাতে 'কৌশলগত পরিবর্তন' এসেছে। আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মীর নিয়ে তুরস্কের বার বার মন্তব্য এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তার ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা নয়াদিল্লির নজর এড়িয়ে যায়নি। কিন্তু, মোদি সরকার প্রকাশ্যে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের ব্যাপারে সতর্ক ছিল। আগে মনে হচ্ছিল সরকারের তরফে আঙ্কারার প্রতি অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাব পুনর্নির্মিত হচ্ছে, যাকে অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলি দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের 'নীরব অবসান' বলে বর্ণনা করেছিল। তবে, অপারেশন সিঁদুর এবং পরবর্তী ঘটনার পর সরকার এখন দেশটির সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক নীতিতে স্পষ্টতই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (File Photo)
advertisement
5/6
মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন প্রবীণ বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ নিউজ 18-কে বলেন, ‘‘সমস্ত চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে কিছু সমঝোতা স্মারক বা বাণিজ্য চুক্তি বা প্রকল্প চুক্তি দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে করা হয়েছে। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এগুলো প্রভাবিত নাও হতে পারে। তবে, উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্কের ক্রমাগত হস্তক্ষেপ বিনিয়োগ বৃদ্ধি বা ভবিষ্যতের যে কোনও বাণিজ্য চুক্তির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।’’ ভারতে গুরুত্বপূর্ণ তুর্কি প্রকল্পের মধ্যে লখনউ, পুণে এবং মুম্বইয়ের মতো শহরে মেট্রো রেল প্রকল্পে জড়িত নির্মাণ সংস্থাগুলি রয়েছে। একটি সংস্থা ভারতীয় শিল্পের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে গুজরাতে একটি উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করেছে, অন্য দিকে, আরেকটি বিমান সংস্থা, যা একটি বিশিষ্ট তুর্কি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত, ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিতে কাজ করে। এগুলোর কোনওটাই ছোট নয়, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং জনসাধারণের পরিষেবাগুলির প্রতিনিধিত্ব করে, সেই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
advertisement
6/6
২০১৭ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগানের ভারত সফরের ফলে মিডিয়া সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ অংশীদারিত্ব-সহ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু প্রায় আট বছর পরে সমন্বয়ের সেই প্রতিশ্রুতিগুলি এখন একটি কঠোর বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক বৈপরীত্যের ফলে উদ্ভূত দূরত্ব এখন সুস্পষ্ট। আপাতত, মোদি সরকার নীরব পদ্ধতিই বেছে নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত, কোনও কিছু বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে, সরকারের মনোভাব বুঝতে অসুবিধা হয় না। ভারত বিশ্বব্যাপী নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অর্থনৈতিকভাবে জরুরি হওয়া সত্ত্বেও যে অংশীদারিত্বগুলি দেশের মূল কৌশলগত স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তারা বেরিয়ে যেতে পারে, এটাই সরকারি মনোভাব! (Photo: AP)
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
India-Turkey: কাশ্মীর থেকে দিল্লি, টানেল থেকে মেট্রো, বিলিয়ন ডলারের তুর্কি ডিল নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত?
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল