Do Not Spend Money On These Items: ধনী হতে চাইলে এই ৫ জিনিসের উপর কখনও টাকা খরচ করবেন না !
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Do not Spend Money on these things: অনেকেই ধনী হতে চান, কিন্তু ভুল খরচের কারণে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এই ৫টি নির্দিষ্ট খাতে টাকা খরচ না করলেই আপনি দ্রুত সঞ্চয় করতে পারবেন এবং আর্থিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
advertisement
1/14

অনেকেই আছেন যাঁরা উপার্জন নিতান্ত মন্দ করেন না, কিন্তু প্রতি মাসে বেতন আসার কিছু দিন পর থেকেই ধার করতে বাধ্য হয়ে পড়েন, শুরু হয় আর্থিক দুশ্চিন্তা। এরকমটা কেন হয়, তা বিশ্লেষণ করতে হলে ঠিক গুনে গুনে দুটো জিনিসই উল্লেখ করা যা। এর মধ্যে প্রথমটা হল দায়বদ্ধতা, এমন কোনও কারণ আছে যার জন্য টাকা খরচ করতেই হয়, ফলে শুরু হয়ে যায় টানাটানি। আর দ্বিতীয় কারণ হল স্বভাব, এমন স্বভাব যা খরচ করতে বাধ্য করে!
advertisement
2/14
সেই জন্যই এখনকার পৃথিবীতে বিচক্ষণতার সঙ্গে অর্থ ব্যয় করা একটি বিরল গুণ হয়ে উঠেছে। কারণ অর্থ খরচ করার অজস্র উপায় রয়েছে - দামি গাড়ি এবং বিলাসবহুল বাড়ি থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডেড জিনিসপত্র এবং এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে শো-অফ করার চাপ। যদি এমন কেউ থাকেন, যিনি প্রায়শই অপ্রয়োজনীয়ভাবে বা অযৌক্তিকভাবে অর্থ ব্যয় করেন এবং এই অভ্যাসটি ভাঙতে চান, তাহলে সর্বকালের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের টিপস দেখে নেওয়া যেতে পারে। তিনি সহজ কিন্তু শক্তিশালী আর্থিক জ্ঞানের জন্য পরিচিত, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ নিয়ে অব্যর্থ ও কার্যকরী নিয়ম তাঁর চেয়ে ভাল আর কেউ দেখাতে পারেন না। এ হেন ওয়ারেন বাফেট রুলস অর্থ সম্পর্কে সকলের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করতে পারে। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিগুলির মধ্যে একটি হল - "নিয়ম নং ১: কখনও অর্থ হারাবেন না, নিয়ম নং ২: কখনও নিয়ম নং ১ ভুলে যাবেন না।"
advertisement
3/14
এই নিয়মগুলি কেবল শেয়ার বাজারের জন্য প্রযোজ্য নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি আর্থিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ৯৪ বছর বয়সী কোটিপতি এবং বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সিইও বাফেট বিশ্বাস করেন যে, যিনি জানেন কোথায় টাকা নষ্ট করা উচিত নয়, তিনিই কেবল অর্থ রক্ষা করতে পারেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ৫টি সাধারণ কিন্তু অপ্রয়োজনীয় জিনিস যার জন্য বাফেট মানুষকে কখনও খরচ না করার পরামর্শ দেন।
advertisement
4/14
১) নতুন গাড়ি কেনা -যখনই কেউ নতুন চাকরি বা পদোন্নতি লাভ করে, তখন তার মনে প্রথমেই যে জিনিসটি আসে তা হল একটি চকচকে নতুন গাড়ি কেনা। কিন্তু বাফেট এটিকে বেশিরভাগ মানুষের করা সবচেয়ে বড় ভুলগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করেন। তিনি বলেন যে শোরুম থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি নতুন গাড়ির মূল্য হ্রাস পায় এবং বছরের পর বছর এই মূল্য হ্রাস পেতে থাকে এবং মাত্র ৫ বছরেই তা ৬০% পর্যন্ত হ্রাস পায়।
advertisement
5/14
কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বাফেট নিজে ২০১৪ সালের একটি ক্যাডিলাক এক্সটিএসের মালিক এবং এটিও তিনি জেনারেল মোটরস থেকে বিশাল ছাড়ে কিনেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন: "কেন এমন কিছু কিনবেন যা লট থেকে বের করার সঙ্গে সঙ্গেই মূল্য হারায়?" এখানে বার্তাটি হল যে একটি গাড়ি কেবল পরিবহনের একটি মাধ্যম, কারও সাফল্যের পরিমাপ নয়। যে গাড়ি তার উদ্দেশ্য পূরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন নিজেদের ব্যালেন্স শিটের উপর বোঝা হয়ে উঠছে, তা কেনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিশেষ করে যখন একই টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে তা আরও ভাল রিটার্ন দিতে পারে।
advertisement
6/14
২) ক্রেডিট কার্ডের সুদ -বাফেট ক্রেডিট কার্ড ঋণকে এমন একটি ফাঁদ বলে মনে করেন যে একবার এতে কেউ আটকে পড়লেই এটি থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা যত সহজ মনে হয়, সুদের হার তত বেশি। ভারতে বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক সুদের হার ৩০% এর বেশি, যার অর্থ কেউ যদি ১ লাখ টাকা ব্যালেন্স রাখেন, তাহলে এক বছরে, কেবল সুদে ৩০,০০০ টাকার বেশি দিতে হতে পারে। বাফেট বলেন, "আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ধার না নিয়েই আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।"
advertisement
7/14
অনেকেই মনে করেন যে, তাঁরা ন্যূনতম বকেয়া পরিশোধ করে তাঁদের ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পরিশোধ করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল প্রতি মাসে সুদ যোগ হতে থাকে, এবং মূলধন মোটেও কমে না। এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং একদিন এটি একটি ভারী বোঝা হয়ে ওঠে। বাফেট তরুণদের অতিরিক্ত ব্যয়ের অভ্যাস নয়, বরং সুবিধার জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি একবার বলেছিলেন, "আপনি যদি কোনও শেয়ারের উপর ১৫% বার্ষিক রিটার্ন অর্জনের চেষ্টা করেন, তাহলে কেন ৩৬% সুদের ঋণ নিয়ে নিজেকে পিছিয়ে রাখবেন?"
advertisement
8/14
৩) জুয়া এবং লটারি -বাফেট জুয়া এবং লটারিকে গাণিতিক কর বলে অভিহিত করেন। অর্থাৎ, এমন একটি কর যা যে গণিত এবং যুক্তি বোঝে না তাদের উপর আরোপ করা হয়। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই অভ্যাসগুলি মানুষকে প্রকৃত কঠোর পরিশ্রম এবং বিনিয়োগ থেকে দূরে নিয়ে যায় এবং আশা ও ভাগ্যের মায়ায় আটকে দেয়। লটারির টিকিট কেনা বা ক্যাসিনোতে বাজি ধরা প্রথমে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে, কিন্তু ধীরে ধীরে এটি আর্থিক শৃঙ্খলা, সঞ্চয় এবং আত্মনিয়ন্ত্রণকে গ্রাস করে।
advertisement
9/14
মানুষ প্রায়শই ভাবে যে একবার জ্যাকপট পেলে তাদের জীবন বদলে যাবে, কিন্তু পরিসংখ্যান দেখায় যে লটারি জেতার সম্ভাবনা লাখ-লাখের মধ্যে মাত্র একটি, অন্য দিকে টাকা হারানো প্রায় নিশ্চিত। এই কারণেই বাফেট সবসময় বলেন, “এমন জায়গায় টাকা রাখবেন না, যেখানে সম্ভাবনা আপনার বিরুদ্ধে।” এই ধরনের খরচ কেবল ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের ক্ষতি করে না, বরং মানসিক শান্তি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতারও ক্ষতি করে। সাময়িক উত্তেজনার জন্য ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
advertisement
10/14
৪) প্রয়োজনের চেয়ে বড় বাড়ি -বাফেট এখনও ১৯৫৮ সালে যে বাড়িটি কিনেছিলেন সেই বাড়িতেই থাকেন। তিনি বলেন: “একটি বাড়ি থাকার জায়গা, সাফল্যের মাপকাঠি নয়। বড় বাড়ি মানে আরও বেশি কর, রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মী এবং দায়িত্ব। যদি আপনার ২টি ঘর দরকার হয়, কিন্তু আপনি কেবল লোক দেখানোর জন্য ৪টি ঘর নিচ্ছেন, তাহলে আপনি প্রতি মাসে কেবল লোক দেখানোর জন্য লাখ লাখ টাকা পোড়াচ্ছেন।”
advertisement
11/14
৫) জটিল বিনিয়োগ পণ্য -বাফেট সবসময়ই বিনিয়োগের জগতে সরলতা এবং বোধগম্যতার সমর্থক। তাঁর বিনিয়োগ নীতি হল: "এমন ব্যবসায় কখনও বিনিয়োগ করবেন না যা আপনি বুঝতে পারবেন না।" অর্থাৎ, যদি আপনি নিজে কোনও বিনিয়োগ সঠিকভাবে বুঝতে না পারেন - এর পিছনের কৌশল, ঝুঁকি, সম্ভাব্য রিটার্ন, অথবা এর উপর চার্জ, তাহলে এতে বিনিয়োগ করা আপনার কষ্টার্জিত অর্থকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার মতো।"
advertisement
12/14
বর্তমানে বাজারে বিনিয়োগের নামে অনেক জটিল পণ্য রয়েছে এবং তারা প্রতিশ্রুতি দেয় তাৎক্ষণিক লাভ করার। কিন্তু বাফেট বিশ্বাস করেন যে যদি কিছু খুব জটিল মনে হয় এবং দ্রুত ধনী করে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত। তিনি বলেন যে, ঝুঁকি আসে কে কী করছে তা না জানার মাধ্যমে। এর অর্থ হল যখন কেউ না বুঝে বিনিয়োগ করে, তখন নিজের অজান্তেই একটি বিশাল ঝুঁকি নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে এর মূল্য কেবল অর্থের ক্ষতির আকারে নয়, বরং মানসিক চাপ এবং হতাশার আকারেও দিতে হতে পারে।
advertisement
13/14
বাফেটের এই কথাগুলি থেকে ৩টি বড় শিক্ষা নেওয়া উচিত-- প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিতে হবে, লোক দেখানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।- যে আর্থিক পণ্যগুলি সম্পর্কে ধারণা নেই, সেগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত নয়।- ব্যয়ের চেয়ে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের উপর বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
advertisement
14/14
নিজেদের আর্থিক পরিকল্পনায় এই অভ্যাসগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে, কেবল অর্থের অপচয় এড়ানো যাবে না, বরং ধীরে ধীরে সম্পদ তৈরি করতেও শুরু করা যাবে। বাফেটের আর্থিক জ্ঞান যে কোনও সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য একটি রোডম্যাপের চেয়ে কম নয়। তাঁর ভাষায়: "ব্যয় করার পরে যা অবশিষ্ট থাকে তা সঞ্চয় করবেন না, বরং সঞ্চয় করার পরে যা অবশিষ্ট থাকে তা ব্যয় করুন।" যদি কেউ এটা বুঝতে পারেন, তাহলে শুধু আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে না, বরং ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত হতে পারে। তাই পরের বার যখন কেউ বড় বা অপ্রয়োজনীয় খরচ করতে যাবেন, তখন নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, "বাফেট কি এতে অর্থ ব্যয় করতেন?"
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Do Not Spend Money On These Items: ধনী হতে চাইলে এই ৫ জিনিসের উপর কখনও টাকা খরচ করবেন না !