Tomato Price: সস্তা হবে টমেটো, বড় পদক্ষেপ সরকারের, কীভাবে কম দামে পাবেন দেখে নিন!

সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে টমেটো। নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে বড়সড় পদক্ষেপ করল সরকার। এতে টমেটোর দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কী করছে সরকার? অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রের মান্ডি থেকে টমেটো সংগ্রহ করে খুচরো বিক্রেতাদের বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছে ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রক ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন এবং ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমারস ফেডারেশন।

চলতি সপ্তাহের শুক্রবারের মধ্যেই টমেটোর স্টক খুচরো আউটলেটের মাধ্যমে দিল্লি এনসিআর অঞ্চলের ভোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বুধবার জারি করা এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, যে এলাকায় প্রচলিত দাম সর্বভারতীয় গড়ের থেকে বেশি, সেই সব কেন্দ্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই কমবেশি টমেটো উৎপাদন হয়। সর্বাধিক উৎপাদন হয় দেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিম অংশে, সমগ্র ভারতের ৫৬ থেকে ৫৮ শতাংশ। দক্ষিণ এবং পশ্চিম অঞ্চল উদ্বৃত্ত রাজ্য হওয়ায় উৎপাদনের মরশুমের উপর নির্ভর করে অন্যান্য বাজারে খাদ্য সরবরাহ করে।

বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদনের মরশুমও আলাদা। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ফসল কাটার মরশুম। জুলাই-অগাস্ট এবং অক্টোবর-নভেম্বর সময়কালে টমেটোর উৎপাদন কম হয়। জুলাই মানে বর্ষাকাল। এসময় খাদ্য সরবরাহ একপ্রকার চ্যালেঞ্জ। ফলে মূল্যবৃদ্ধি অবধারিত।

রোপণ এবং ফসল কাটার ঋতু চক্র এবং অঞ্চলভেদে তারতম্য টমেটোর দামের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী। সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন এবং ফসলের ক্ষতি হওয়ার কারণেও দাম বাড়ে।

বর্তমানে, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্যান্য কিছু রাজ্যের বাজারে আসা সরবরাহগুলি বেশিরভাগই মহারাষ্ট্র বিশেষ করে সাতারা, নারায়ণগাঁও এবং নাসিক থেকে ঢুকেছে যা এই মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের মদনাপাল্লে (চিত্তুর) থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ টমেটো এসেছে। দিল্লি এনসিআরে টমেটো আসে প্রধানত হিমাচল প্রদেশ এবং বাকিটা কর্নাটকের কোরাল থেকে।

শীঘ্রই নাসিক থেকে আসা টমেটো বাজারে ঢুকবে। অগাস্টে, নারায়ণগাঁও এবং ঔরঙ্গাবাদ বেল্ট থেকে অতিরিক্ত সরবরাহ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ থেকেও টমেটো আসা শুরু হবে। সেই অনুযায়ী দাম অদূর ভবিষ্যতে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।