Gold Price Prediction: উৎসবের মরশুম কাটলেও বেড়েই চলেছে সোনার দাম, ভবিষ্যতে দাম কমবে?

ধনতেরস ও দীপাবলিতে সোনার দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। আপাতত উৎসবের মরশুম শেষ। কিন্তু সোনার দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। শুক্রবারও হলুদ ধাতুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ১০ গ্রাম সোনার দাম ৮০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। রুপোরও একই অবস্থা। কিলো প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ হাজার টাকায়।

অল ইন্ডিয়ান বুলিয়ন অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার জানিয়েছে, উৎসবের মরশুম কাটলেও বিয়ের মরশুম শুরু হচ্ছে। ফলে সোনার গয়নার চাহিদা ব্যাপক। শুক্রবার রাজধানী দিল্লির বুলিয়ন বাজারে সোনা ফের ৫০০ টাকা বেড়ে ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার ১০ গ্রাম ৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনার দাম ছিল ৭৯,৫০০ টাকা।

রুপোর দাম বেড়েছে ৮০০ টাকা: প্রতি কিলোগ্রামে রুপো ৮০০ টাকা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৯৪,৬০০ টাকা। আগের ব্যবসায়িক সেশনে কিলোগ্রাম প্রতি দাম ছিল ৯৩,৮০০ টালা। ১০ গ্রামের ৯৯.৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনার দাম ৫০০ টাকা বেড়েছে। দাম দাঁড়িয়েছে ৭৯,৬০০ টাকা। বৃহস্পতিবার এর দাম ছিল ৭৯,১০০ টাকা।

কেন বাড়ছে সোনার দাম: জুয়েলার্সরা বলছেন, বিয়ের মরশুমে সোনার গয়না তৈরির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হিসাবে সোনায় লগ্নি করছেন, হলুদ ধাতুর দাম বৃদ্ধির এটাও অন্যতম কারণ। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমিয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে সোনার দামে।

এছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। অন্য দিকে, মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইজরায়েলের লড়াই। এর মধ্যে তাল ঠুকছে ইরানও। পরিস্থিতি যে কোনও সময় পুরোদস্তুর যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। বাজারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে সোনাকেই বেছে নিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পতন: ভারতে দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে হলুদ ধাতুর দাম কিছুটা কমেছে। এলকেপি সিকিউরিটজের গবেষণা বিশ্লেষক যতীন ত্রিবেদী বলছেন, ডলারের সূচকে শক্তি এবং ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত ঘোষণার মধ্যে সোনার দামে পতন দেখা গিয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার ৯.২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। এশিয়ান বাজারে কোমেক্স গোল্ড ফিউচার আউন্স প্রতি ০.৩৭ শতাংশ বা ১০ ডলার কমে ২,৬৯৫.৭০ ডলারে পৌঁছেছে। রুপোর দামেও পতন হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে রুপো ০.৮০ শতাংশ কমে আউন্স প্রতি ৩১.৬০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তবে এই দরপতন কতদিন অব্যাহত থাকবে সেটাই দেখার।