Investment Tips: সোনা এবং রুপোয় বিনিয়োগ করতে চাইলে কোন অনুপাতে বিনিয়োগ করা উচিত? জেনে নিন বিশেষজ্ঞর টিপস

সোনার দাম নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই বছর সোনার দাম ৬০%-এরও বেশি বেড়েছে। সম্ভবত এত অল্প সময়ের মধ্যে এত তীব্র বৃদ্ধি আগে কখনও দেখা যায়নি। ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের অগাস্টের মধ্যে সোনার দাম ১০০% বেড়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অগাস্টের মধ্যে সোনার দাম প্রায় ৫৩% বেড়েছে। সেই সময়ে কোভিড-১৯ বিশ্বকে গ্রাস করেছিল।

সোনার দাম প্রতি আউন্স ৪,০০০ ডলারের কাছাকাছিসোনার দাম এখন প্রতি আউন্স ৪,০০০ ডলারের কাছাকাছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থা এবং ফ্রান্সের রাজনৈতিক সঙ্কট এতে অবদান রাখছে। এই বছর অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাও সোনার দীপ্তি বাড়িয়ে তুলছে। অব্যাহত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাও বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তার জন্য সোনায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করছে। তবে, উচ্চ মূল্য সোনার গয়নার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, সোনার ETF এবং সোনার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সোনায় বিনিয়োগ বেড়েছে।

পতনের সময় সোনা কেনার পরামর্শবিশেষজ্ঞরা বলছেন যে স্বল্পমেয়াদে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ ডলারের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, সোনার দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা ইতিবাচক। টাটা মিউচুয়াল ফান্ড তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, "বিনিয়োগকারীদের সোনায় তাঁদের বিনিয়োগ বজায় রাখা উচিত। মাঝে মাঝে দাম হ্রাসের সময় তাঁরা তাঁদের বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন।" দীর্ঘমেয়াদে সোনায় কৌশলগত বরাদ্দ অপরিহার্য। এটি মুদ্রাস্ফীতি, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রার দুর্বলতার ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।

সোনা ও রুপোয় বিনিয়োগের অনুপাতটাটা মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতিবেদন অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা ৫০:৫০ অনুপাতে সোনা ও রুপোয় বিনিয়োগ করতে পারে। এর কারণ হল রুপোও এখন আকর্ষণীয়। এখন সোনা ও রুপোয় বিনিয়োগ করা বেশ সহজ। বিনিয়োগকারীরা গোল্ড ইটিএফ এবং সিলভার ইটিএফ উভয়ের মাধ্যমেই বিনিয়োগ করতে পারে। তবে, এর জন্য একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন। যে কেউ ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির মাধ্যমে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

এই বছর রুপোর দাম ৬১% বেড়েছে। রুপো ইটিএফ বিনিয়োগকারীরা এর থেকে উপকৃত হয়েছেন। রুপো ইটিএফ এই বছর ৮৩%-এরও বেশি রিটার্ন প্রদান করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে রুপোর দাম আরও বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হল চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। অনেক শিল্পে এটি ব্যবহার করা হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে।