প্রতি মাসে ১.৫ লাখের টার্নওভার...! কৃষিকাজ থেকে ব্যবসা শুরু করেই চমকে দিলেন গরীব চাষি! কী এমন করলেন জানেন?

কৃষিকাজ নিঃসন্দেহে ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি। তবে বর্তমানে কেউ কেউ কৃষিকাজের পাশাপাশি কিছু চমকপ্রদ কৃষিভিত্তিক ব্যবসা থেকেও দুর্দান্ত আয় করছেন। শুধু আয়ের নতুন পথই খুলে দিচ্ছে না এই ধরণের ব্যবসা নতুন প্রজন্মকেও আকৃষ্ট করছে।

মহারাষ্ট্রের শেন্দ্রার কৃষক ভরত মোর এমনই এক ব্যবসা করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। আট বছর আগে একটি নার্সারি শুরু করেন ভরত।

মূলত তিনি বাগান, শো প্ল্যান্ট, ইনডোর প্ল্যান্ট-সহ বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ বিক্রি করেন তাঁর এই নার্সারিটি থেকে। আর এর মাধ্যমে এতটাই লাভ করেছেন ইতিমধ্যেই যে বর্তমানে তিনি প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় করছেন এই নার্সারির হাত ধরে।

জালনা রোডের শেন্দ্রায় বসবাসকারী ভরত মোর গাছের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কাটার কাজ করেন। তাঁর এই নার্সারি থেকেই গাছগুলি পাইকারিভাবে বিক্রি করা হয়। এই দুটি কাজের খরচ বাদ দিয়ে, ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা আয় করেন, মোর।

মোর বিভিন্ন জাতের গাছের বীজ রোপণ করে নিজেই চারা চাষ করেন তাঁর এই নার্সারিতে। বাড়িতে এই সব চারা চাষ করে তিনি ভাল টাকা লাভ করছেন। ফুলের মধ্যে মোগরা, জসভান্ড, এক্সোরা-সহ বিভিন্ন বিদেশী গাছপালা রয়েছে তার।

তাঁর নার্সারির মাধ্যমে মোট লেনদেন হয় ১.৫ লক্ষ টাকা। তাতে শ্রম খরচ বাদ দিলে, ৬০ হাজার টাকা অবশিষ্ট থাকে এবং ইনডোর গাছপালা রক্ষণাবেক্ষণ করে প্রতি মাসে মোট ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় হয়।

লোকাল 18 কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোর আরও জানালেন যে তিনি গাছের সিজনে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয় করেন।

এলাকার কৃষকরা প্রায়ই আজকের ভরতের নার্সারিতে আসছেন এবং তাঁদের কাছ থেকে নার্সারির বিষয়ে নির্দেশ নিচ্ছেন। ভরতের মতে, নার্সারি ব্যবসা শুরু করার আগে, প্রত্যেকেরই এক মাসের প্রাক-নার্সারি ট্রেনিং নেওয়া উচিত, যেখানে তাদের চারা তৈরি, গাছ কাটার মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলি শিখে নিতে হবে। এই ধরণের প্রশিক্ষণ কৃষকদের এই ব্যবসা চালাতে সাহায্য করবে যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা না হয়, এমনটাই বলেন নার্সারি ব্যবসায়ী ভরত মোর।